শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
মঙ্গলবারই মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে রোড শো ও পায়ে হেঁটে মানুষের মধ্যে মিশে প্রচারে ঝড় তোলেন তৃণমূলপ্রার্থী মৌসম বেনজির নুর। জেলা কংগ্রেস সভাপতি’র নির্বাচনী এলাকায় তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থীর প্রচারে জনউচ্ছ্বাসকে কেন্দ্র করে এদিন দিনভর চর্চা হয়েছে। অন্যদিকে, দক্ষিণ মালদহের একাধিক এলাকায় প্রচারের পাশাপাশি আরও জোর বাড়াতে এদিন লোকসভার নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠক করেন দক্ষিণ মালদহের নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান সাবিত্রী মিত্র।
দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি সুমালা আগরওয়ালা বলেন, মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যেভাবে জমায়েত হয়েছে তাতে দলে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। সেখানে শুভেন্দুবাবুর সভা শুধু উত্তর মালদহের কর্মী-সমর্থকরাই ভরিয়ে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি, সকলেই বুঝতে পারছেন বহিরাগত নেতাকে দেখার ভিড় আর চেনা নেতার সভায় আসা ভিড়ের তুলনা করলে কার পাল্লা ভারি হয়। কর্মীমহলের এই আত্মবিশ্বাসই আমাদের মূলশক্তি। এই উন্মদনাকে ধরে রাখতে আমরা প্রার্থীদের নিয়মিত জনসংযোগে জোর দিতে বলেছি। মৌসম নুর ইতিমধ্যেই একই দিনে একাধিক রোড শো শুরু করে দিয়েছেন। এরসঙ্গে আমরা দ্রুত আমাদের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রচারে আনছি। ফ্লেক্স, মিছিল সহ নানা উপাচারে প্রচারের জোর আরও বাড়ানো হচ্ছে।
গত ২৩ মার্চ মালদহের চাঁচলের কলমবাগানে রাহুল গান্ধীর সভায় বিপুল জনসমাগম হয়েছিল। এর পালটা হিসাবে ২৫ মার্চ সেখানেই সভা করে তৃণমূল কংগ্রেস। আড়েবহরে সেই সভার ভিড়ও ছিল নজরকাড়া। বিশেষ করে, তৃণমূলের কর্মীমহলে এবং কিছুটা আমজনতা মহলেও সেদিনের ভিড় নিয়ে পৃথক চর্চা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, কংগ্রেসের সভায় গোটা জেলা এবং আশপাশের জেলা থেকেও জমায়েত হয়েছিল। সেখানে তৃণমূল শুধু উত্তর মালদহের কর্মী-সমর্থকদেরই মাঠে হাজির করেছিল। একই দিনে তারা দক্ষিণ মালদহে পৃথক সমাবেশ করে। সেখানেও বিপুল জমায়েত হয়েছিল। ফলত, কলম বাগানের সভা দলের অন্দরে একটি আত্মবিশ্বাসের সঞ্চার করেছে। যাকে হাতিয়ার করেই এবার প্রচারের ধার বাড়াতে তারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিরাট সভা করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মঙ্গলবার হরিশ্চন্দ্রপুরে দাপিয়ে রোড শো ও পদযাত্রায় প্রচারে করেছেন তৃণমূল প্রার্থী মৌসম। সেই প্রচারককে কেন্দ্র করেও এলাকায় ব্যাপক উৎসাহ দেখা গিয়েছে। দলীয় প্রচারকে এবার উত্তুঙ্গে পৌঁছে দিতে এবার দলের সেরা কার্ড জনমোহিনী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মালদহে আনার তোড়জোড় শুরু হয়েছে দলের অন্দরে।