শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
মঙ্গলবার শিজলিগুড়িতে সিপিএমের জেলা সদর দপ্তর অনিল বিশ্বাস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা শিলিগুড়ির বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য বলেন, শিলিগুড়ি পুরসভায় বামফ্রন্টের যে ২২ জন কাউন্সিলার রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে লোকসভা নির্বাচনে প্রত্যেককে নিজের নিজের ওয়ার্ডে বাম প্রার্থীকে লিড দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে। মহকুমা পরিষদ তথা পঞ্চায়েতেও বামফ্রন্টের নির্বাচিত সদস্যদের এই দায়িত্ব নিতে হবে। সমতলে আমাদের ভোট বেশি রয়েছে সেটা ধরে রাখার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। কারণ পাহাড়ে এবার ভোট কাটাকাটি হবে। তাতে সমতলে আমাদের ভোট ভরে রাখতে পারলে দার্জিলিং কেন্দ্রে বামফ্রন্ট প্রার্থীর জয় নিশ্চিত হবে। রাজনৈতিক মহল বলছে, পাহাড়ে সিপিএমের কার্যত কোনও ভোট নেই। সমতলেও সংগঠন তলানিতে। এই অবস্থায় গতবারের ভোট ধরে রাখাই কঠিন। তাই নির্বাচিত প্রতিনিধিদের টার্গেট বেঁধে দিয়ে চাপে রাখতে মরিয়া নেতৃত্ব।
দলের জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেন, আমাদের প্রার্থী সারা বছর শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গেই থাকেন। এছাড়া তাঁর রাজনৈতিক পারিবারিক পরিচয়ের জন্যও পাহাড় থেকে ভালো ভোট পাওয়া যাবে। এই কেন্দ্রের বামপ্রার্থী সমন পাঠকের ছাত্রজীবন পাহাড়েই কেটেছে। এর পাশাপাশি তাঁর বাবা প্রয়াত আনন্দ পাঠক দু’দশকেরও বেশি এই এলাকা থেকে এমপি এবং বিধানসভার সদস্য ছিলেন। কিন্ত অশোকবাবুরা ভোট ব্যাংকের ভরসায় আর না থেকে বিশেষভাবে তাকিয়ে রয়েছেন পাহাড়ের বিক্ষুব্ধ ভোটারদের টানার দিকে। এদিন তিনি বলেন, কয়েকজন নেতা বৈঠক করে এবার পাহাড়ের বিজেপি প্রার্থী বেছেছেন। কিন্তু তাতে জিএনএলএফ ও বিমলপন্থী মোর্চার সাধারণ নেতা কর্মী ও সমর্থকদের সমর্থন নাও থাকতে পারে। তাঁর আশা,পছন্দের প্রার্থী না পেয়ে তাঁরা বাম প্রার্থীকেই ভোট দেবেন।