শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
বৈষ্ণবনগর থেকে ২০১১ সালে প্রথমবার কংগ্রেস বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন ঈশা। তিনি হারিয়ে ছিলেন জাঁদরেল সিপিএম নেতা বিশ্বনাথ ঘোষকে। ২০১৬ সালে কেন্দ্র পাল্টে সুজাপুরে নিজের জ্যাঠা আবু নাসের খান চৌধুরির (লেবু) বিরুদ্ধে লড়েছিলেন তিনি। সাফল্য পান সেখানেও। দক্ষিণ মালদহের দু’টি আলাদা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জেতার ফলে এই লোকসভার অনেকটা অংশ তিনি চেনেন হাতের তালুর মতোই। তাছাড়া নিয়মিত রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি দক্ষিণ মালদহে কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে একটা নিজস্ব নেটওয়ার্কও তৈরি করে ফেলেছিলেন। ২০০৯ সাল থেকেই বাবা ডালুবাবুর সঙ্গে ঘুরে ঘুরে দক্ষিণ মালদহে নিজের জমি তৈরি করেছিলেন ঈশা। ডালুবাবু মালদহে না থাকলে তাঁর হয়ে এই লোকসভা কেন্দ্রটি সামলাতেন ঈশা নিজেই। ধীরে ধীরে ডালুবাবুর ক্রাইসিস ম্যানেজারের ভূমিকা নিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। বাবার হয়ে ভোট করানোয় এসবই ঈশার প্লাস পয়েন্ট। কিন্তু এবার লোকসভা ভোটে ঈশা নিজেই প্রার্থী হয়ে যাওয়ায় ডালুবাবুর যষ্ঠিটিই হাতছাড়া হয়ে গেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
অবশ্য ঈশা ছাড়াও ২০১৪ সালে ডালুবাবুর পাশে ছিলেন দক্ষিণ মালদহের একাধিক কংগ্রেস বিধায়ক। তাঁরা সকলেই রাজনীতিতে পোড়খাওয়া। কিন্তু এঁদের অনেকেই শিবির বদলে ফেলেছেন। ফলে এই নির্বাচনের প্রচারে ডালুবাবুর ভরসা বলতে শুধু মানিকচকের বিধায়ক মোত্তাকিন আলম এবং ফারাক্কার মইনুল হকই থাকছেন। এই পরিস্থিতিতে বার্ধক্যজনিত সমস্যাকে দূরে সরিয়ে ডালুবাবুকেই সামলাতে হবে নিজের দুর্গ।
সমস্যা স্বীকার করে ঈশা বলেন, কিছুটা সমস্যা তো হবেই। তবে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকেই আমি বাবার হয়ে সুজাপুর ও মোথাবাড়িতে অনেকগুলি রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েছি। এসব কাজ জমি প্রস্তুত করেই রেখেছে। আমার প্রচারে বাবাকে খুব একটা ডাকব না। হয়তো একদিন বা দু’দিন আসবেন। তাঁকে দক্ষিণ মালদহেই বেশি সময় দিতে বলেছি। এদিকে ডালুবাবু বলেন, আমি নিজেই প্রচারে বেরচ্ছি। নিয়মিত কর্মিসভা করছি। তিনবার জিতেছি। আবার জয়ের জন্যই লড়াই করছি। ঈশা থাকলে ভালো হতো। তবে এবার ও নিজের কেন্দ্র নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। এতে আমার প্রচারে তেমন অসুবিধা হবে না। মালদহের জমি গনিখানের। তাঁর নামেই ভোট হবে।