পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, শনিবার জলপাইগুড়িতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.০২, কোচবিহারে ১১ এবং আলিপুরদুয়ারে ১৪, দার্জিলিংয়ে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। এদিন কোচবিহারে ১১ মিলিটিমার ও আলিপুরদুয়ারে ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আজ রবিবার সকালের দিকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হতে পারে। সেক্ষেত্রে সর্বত্র সরস্বতী পুজার আয়োজন ও আনন্দ উদযাপনে বিঘ্ন ঘটতে পারে। আকাশ মেঘলা থাকলেও আজ বিকালের দিকে আকাশ পরিষ্কার হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক সুবীর সরকার বলেন, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে ফি’বছর শীত মরশুমে দু’বার করে এই হালকা ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়। এবছরের শীত মরশুমে প্রথম এঘটনা ঘটল। রবিবার সকালের দিকে ফের ঝিরঝিরে বৃষ্টি হলেও বিকালের দিকে বৃষ্টি নাও হতে পারে।
এদিন ভোর রাত থেকেই দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছে। দার্জিলিংয়ে দিনভরই বৃষ্টি হয়েছে। ফলে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা ফিরে এসেছে। সমতলেও ফের ঠান্ডা জাঁকিয়ে বসায় সর্বত্র জনজীবন আংশিক বিঘ্নিত হয়েছে। একদিকে ঠান্ডা ও অন্যদিকে বৃষ্টির জেরে এদিন উত্তরের জেলাগুলির রাস্তাঘাটে লোকজন কম ছিল। এদিকে এবছর সরস্বতী পুজা শনি ও রবিবার দু’দিন পড়েছে। শনিবার বৃষ্টির জন্য উত্তরের জেলাগুলিতে সরস্বতী পুজোর আনন্দও অনেকটাই ম্লান হয়ে যায়। আজ বৃষ্টি হলে পুজোর আনন্দ ম্লান হতে পারে।
ঝিরঝিরে বৃষ্টির জন্য কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে আলুতে ধসা, আলু পচা ও ডাঁটা গলানো রোগের আশঙ্কা করছে কৃষিদপ্তর। কোচবিহারের সহ কৃষি অধিকর্তা (তথ্য) গোপাল চন্দ্র সাহা বলেন, এভাবে লাগাতার বৃষ্টি হলে আলুর ফল পচে যেতে পারে। আলুতে ধসা ও ডাঁটা গলে যাওয়ার রোগও দেখা দিতে পারে। জলপাইগুড়ির সহ কৃষি অধিকর্তা (শস্যরক্ষা) প্রিয়নাথ দাস বলেন, এই বৃষ্টিতে বোরো ধান, ডাল ও তৈল জাতীয় শস্যের উপকার হবে। অন্যান্য সব্জি ফসলেরও উপকার হবে। অন্যদিকে, লাগাতার এমন ঝিরঝিরে বৃষ্টি হলে চা গাছের উপকার হবে। ফলে চা মালিকদের মুখে হাসি ফুটেছে। কারণ শীতের শুখা মরশুমে চা গাছে কৃত্রিম উপায়ে জলসেচ দিতে হয়। ডুয়ার্স ব্রাঞ্চ ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিআইটিএ) মুখপাত্র সুমন্ত গুহঠাকুরতা বলেন, ঝিরঝিরে বৃষ্টি হওয়ায় আমরা খুশি। এতে আমাদের কৃত্রিম সেচের খরচ কমে যাবে। আগামী কয়েক দিন আর সেচ দিতে হবে না।