পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
রায়গঞ্জ শহরের দোকানপাট শনিবার করে বন্ধ থাকে। কিন্তু সরস্বতী পুজোর জন্য এদিন দশকর্মা ভাণ্ডার, ফল ও সব্জির বাজার খোলা ছিল। বৃষ্টির জন্য বাজার জমেনি। ফুটপাতে প্রতিমা বিক্রিতেরা সকাল থেকে চড়া দাম হেঁকে বসলেও খুব বেশি খদ্দের আসেনি। উল্টে বৃষ্টির জন্য তাঁরা কম দামে প্রতিমা বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। ইসলামপুরেও একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। ইসলামপুর বাজারের ফল বিক্রেতা খোকন মোদক বলেন, বৃষ্টির কারণে প্রত্যাশামতো বাজার জমেনি। রবিবারেও অনেকে পুজো করবেন। তাই এখনও আশায় রয়েছি। কিন্তু আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার কোনও আশা দেখছি না। টিএমসিপির ইসলামপুর কলেজ ইউনিটের সভাপতি মহম্মদ বাবলু বলেন, আমাদের কলেজের পুজো রবিবার হবে। বৃষ্টির জন্য সব দিক দিয়েই সমস্যায় পড়েছি। কলেজে আসার রাস্তায় জল জমে গিয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর মহকুমার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কিছু স্কুল কলেজে শনিবারই সরস্বতী পুজো হয়েছে। কিন্তু সারাদিন ঝিরঝিরে বৃষ্টি হওয়ায় পুজোর আয়োজনে বিঘ্ন ঘটেছে। সকাল থেকে পুজোর নানা সামগ্রী নিয়ে দোকানদারেরা বসে থাকলেও দোকানে সেভাবে ভিড় চোখে পড়েনি।
এদিকে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কৃষিদপ্তর জানিয়েছে, এমরশুমে বৃষ্টির কারণে বোরো ধানের পক্ষে ভালো হয়েছে, পাট লাগানোর প্রস্তুতি চলছে ফলে পাটচাষিরাও উপকৃত হয়েছেন। কিন্তু আলু চাষে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। যদিও উত্তর দিনাজপুর জেলার কৃষি আধিকারিক মির ফারহাদ হুসেন বলেন, বেশির ভাগ জমির আলু তোলা হয়ে গিয়েছে। এই সামান্য বৃষ্টিতে ক্ষতি হবে না। অন্যান্য চাষের জন্য এই বৃষ্টি লাভজনক হবে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কৃষি আধিকারিক জ্যোতির্ময় বিশ্বাস বলেন, বোরো চাষে বৃষ্টি লাভজনক হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলায় এদিন ৯.৬ মিলিলিটার বৃষ্টি হয়েছে।
বৃষ্টির কারণে জেলার তাপমাত্রও নিম্নমুখি হয়েছে। শীত বিদায় নিতে চলেছিল। কিন্তু এদিন সকাল থেকে দুই জেলাতে ভালোমতো শীত ফিরে এসেছে। উত্তর দিনাজপুর জেলায় এদিন সর্বচ্চ তাপমাত্রা ২২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এই তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ২৩ ডিগ্রি ও ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।