পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক তথা মার্কেট কর্তৃপক্ষের চেয়ারপার্সন জয়শী দাশগুপ্ত বলেন, টাকা জমা দেওয়ার রসিদে আমার কোনও সই নেই। সুতরাং বিষয়টি আমি জানি না। তবে মনে হচ্ছে এতেও জালিয়াতি হয়েছে। বড় কোনও অসাধু চক্র এসব করছে। এই বিপুল পরিমাণ টাকা রেগুলেটেড মার্কেটের ফান্ডে জমা পড়েনি।
সম্প্রতি শিলিগুড়ি আরএমসিতে ৬২টি স্টলের মালিকানা রাতারাতি হস্তান্তরিত হয়েছে। এনিয়ে মার্কেট কর্তৃপক্ষের চেয়ারপার্সন বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, স্টল হস্তান্তর বা বিক্রির ক্ষেত্রে তাঁর সই জাল করা হয়েছে। পাশাপাশি আরএমসি’র সেক্রেটারির সইও জাল করা হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর শুক্রবার স্টল হস্তান্তর হওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। প্রতিটি স্টলের মালিকানা পরিবর্তনের জন্য আরএমসিতে ৫০ হাজার টাকা করে জমা পড়েছে। এর রসিদও রয়েছে। সেই রসিদে পূর্ববর্তী স্টল মালিকের নামও উল্লেখ রয়েছে।
স্টল পিছু ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। যদিও সেই লেনদেনের সঙ্গে আরএমসি কর্তৃপক্ষ কোনওভাবেই জড়িত নয় বলে দাবি করেছে। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, খাতায় কলমে স্টলপিছু ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হলেও অলিখিতভাবে কয়েক গুণ বেশি লেনদেন হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে, এত টাকা আরএমসি’র ফান্ডে জমা না পড়ে কোথায় গেল? সেক্ষেত্রে কি কোনও চক্র কাজ করছে? কোনও চক্র এতে জড়িত থাকলে কর্তৃপক্ষই বা কোনও পদক্ষেপ করছে না কেন।
অন্যদিকে, আরএমসিতে এদিন আরও একটি অনিয়ম প্রকাশ্যে এসেছে। আরএমসি সূত্রে জানা গিয়েছে, চুক্তির মেয়াদ পার হবার পরও টানা ছয় বছর স্টলের মালিকানা সামলে চলেছিল ভুটান সরকারের তরফে এক ব্যক্তি। ১৯৮৭ সালে ভূটান সরকারের ফুড কর্পোরেশনের নামে টিএ ২ স্টল নথিভুক্ত হয়। চুক্তির পর থেকেই ভূটান সরকারের তরফে ওই স্টলের দায়িত্ব সামলে চলছিলেন শিলিগুড়ির এক বাসিন্দা। তিনি বলেন, ওই স্টলের চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০১২ সাল পর্যন্ত। এরপর কর্তৃপক্ষ কোনও নোটিস না দিয়েই তা বন্ধ করে দেয়। আরএমসি’র চেয়ারম্যান বলেন, একজনের নামে নথিভুক্ত হওয়া স্টল অন্য ব্যক্তি চালাতে পারেন না। বিষয়টি নজরে আসতেই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, সম্প্রতি স্টলটির মালিকানা দাবি করে এক ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বকেয়া ভাড়ার হিসাব তুলে ধরার পাশাপাশি চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। চেয়ারপার্সন বলেন, সবটাই তদন্ত সাপেক্ষ। তদন্ত হলেই সমস্ত তথ্য প্রকাশ্যে আসবে।