পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
হিলি গর্ভনমেন্ট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অভিজিৎ সরকার বলেন, আমার কাছে লিখিত অভিযোগ কিছু ছাত্রছাত্রী করেছে। একটি রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের নাম করে তাদের কাছে জোর করে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেছে। কলেজে ছাত্রছাত্রীরা পুজো করবে তা খুবই ভালো। বাইরের কেউ পুজোর নাম করে কীভাবে চাঁদা তুলছে? এই বিষয়ে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অধ্যক্ষ এলে পুরো বিষয়টি জানাব। বহিরাগতদের বলে দিয়েছি কলেজে কোনও নোংরামো চলবে না।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি অতনু রায় বলেন, হিলি কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নাম করে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে। হিলি কলেজে আমাদের সংগঠনের কোনও ইউনিট নেই। ছাত্র সংসদও নেই। খোঁজ নিয়ে দেখেছি যারা এই চাঁদা তুলছে তারা এক সময় ওই কলেজে পড়ত ও তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। কিন্তু এখন তারা কলেজে পড়ে না। তাদের চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এটা অত্যন্ত অন্যায় কাজ হচ্ছে।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজে সরস্বতী পুজোর জন্য কোনও তহবিল নেই। কলেজে কোনও ছাত্র সংসদ না থাকায় কলেজের সকল ছাত্রছাত্রী একত্রিত হয়ে চাঁদা তুলে পুজোর আয়োজন করে। অভিযোগ, কলেজের কিছু প্রাক্তন ছাত্র যারা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত তারা কলেজে এসে ছাত্রছাত্রীদের কাছে গিয়ে সরস্বতী পুজোর নামে টাকা চাইছে। রীতিমতো তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নামে রসিদ ছাপিয়ে চাঁদা তোলা হচ্ছে। যেখানে কলেজে ছাত্র পরিষদের কোন ইউনিট বা ছাত্র সংসদ নেই সেখানে কীভাবে ছাত্র পরিষদের নামে চাঁদা তোলা হয় সেনিয়েই ছাত্রছাত্রীরা প্রশ্ন তুলছেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, কলেজে যারা এই সমস্ত অন্যায় কাজ করছে তারা দীর্ঘদিন ধরে কলেজে পরিবেশ নষ্ট করেছে। হিলির তৃণমূল নেতাদের নাম করে কলেজে একের পর এক অসামাজিক কাজ করলেও ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ কলেজ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করতে পারেনি। যদিও এদিন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বহিরাগত ছাত্রদের সতর্ক করেছেন তাদের যেন কলেজ চত্বরে দেখা না যায়। প্রয়োজনে আইনের দ্বারস্থ হবেন তিনি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নামে এমন তোলাবাজি ঘটনা সামনে আসায় এলাকা সরগরম হয়ে উঠেছে।