পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, যোগী আদিত্যনাথের হেলিকপ্টার রায়গঞ্জে নামতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু সেখানে জনজোয়ার হয়েছিল। মামলা থাকার কারণে আমি সামনে এসে মিটিং, মিছিল করতে পারছি না। কিন্তু সাংগঠনিক কাজ সবই করছি। আমরা লোকসভা সঞ্চালক কমিটি করেছি। বিজেপি’র জেলা সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ লাহিড়ি বলেন, জেলা সভাপতি না থাকাতে সাংগঠনিক কাজে সমস্যা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি কাটাতে দলের অন্দরে চিন্তাভাবনা চলছে। তবে এভাবে চললে লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের কর্মীরা মনোবল হারাবেন।
চলতি মাসেই রায়গঞ্জের কাশিবাটিতে যোগীর জনসভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। কিন্তু সেই সভায় শেষপর্যন্ত তিনি আসেননি। মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই ভাষণ দেন। যোগীকে দেখার জন্য মাঠে ভিড়ও হয়েছিল। কিন্তু যোগী না আসায় অনেকেই হতাশ হয়ে ফিরে গিয়েছিলেন। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে জেলা সভাপতি আইনি জটিলতার কারণে প্রকাশ্যে এসে মিটিং, মিছিল করতে পারছেন না। এরফলে দলের অন্দরে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। দল বিভিন্ন ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। কবে তিনি সামনে থেকে আবার দলকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন সেটাও স্পষ্ট নয়।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে উত্তর দিনাজপুর জেলার কিছু এলাকায় বিজেপি আগের তুলনায় ভালো ফল করে। কিন্তু সাংগঠনিক কাজ সঠিকভাবে করতে না পারার কারণে লোকসভা নির্বাচনে তারা ভালো ফল করতে পারবে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। লোকসভা ভোটের জন্য বিজেপি একটি আলাদা কমিটি তৈরি করে সংযোজক নিয়োগ করলেও সেই কমিটি দলের মূল সাংগঠনিক কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবে না বলে দলের একাংশ মনে করছে। এই পরিস্থিতি থেকে দলের বেরতে বিকল্প কোনও রাস্তা রয়েছে কি না তা নিয়েও চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকে জেলায় ধারাবাহিকভাবে বেশকিছু সাংগঠনিক কর্মসূচি গ্রহণ করে দল জেলায় মোটের ওপরে ভালো ফল করেছিল। দলের একাংশ নেতৃত্ব মনে করছে সেই ফলকে ধরে রাখতে গেলে এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে সাংগঠনিক কাজের ওপরে আরও জোর দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু বেশকয়েক মাস ধরে জেলায় বিজেপি সেভাবে কোনও সাংগঠনিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারছে না। রায়গঞ্জ শহরে গত কয়েক মাসে দলের তেমন বড় কোনও কর্মসূচি হয়নি। জেলার অন্যত্রও তা লক্ষ্য করা যায়নি। এরই মধ্যে তারা বড় কর্মসূচি হিসেবে যোগী আদিত্যনাথের সভা করার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু সেই সভাতে প্রধানবক্তা যোগী অনুপস্থিত ছিলেন। এরপরের থেকেই দলের একাংশ নেতৃত্ব মনে করছে, এভাবে চললে কর্মীরা লোকসভা নির্বাচনের আগে মনোবল হারিয়ে ফেলতে পারেন। যদিও দলের অপর অংশ বলছে, এতে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের সাংগঠনিক কাজকে আরও চাঙা করে সঠিকভাবেই তারা ভোটের ময়দানে লড়বে।