পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
জেলা কৃষি দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর হরিশ্চন্দ্র রায় বলেন, কৃষকবন্ধু নিশ্চিত আয় প্রকল্পে চাষিদের নাম নথিভুক্তকরণের আগে পঞ্চায়েত স্তরে মৌজাভিত্তিক ক্যাম্প ও প্রচার করা হয়েছে। এই নাম নথিভুক্তকরণ ধারাবাহিকভাবে চলবে। কাজেই যেসমস্ত চাষির নাম এখনও নথিভুক্ত হয়নি তারাও এই প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
কৃষি দপ্তর জানিয়েছে, যেসমস্ত চাষির ২০ শতক জমি আছে তারা এই প্রকল্প থেকে বছরে ১০০০ টাকা পাবেন। এরমধ্যে খরিফ মরশুমে পাবেন ৫০০ টাকা। পরের রবি মরশুমে পাবেন ৫০০ টাকা। অন্যদিকে, যেসমস্ত চাষির এক একর জমি আছে তাঁরা বছরে এই প্রকল্প থেকে ৫০০০ টাকা পাবেন। এরমধ্যে রবি মরশুমে পাবেন ২৫০০ টাকা ও খরিফ মরশুমে পাবেন ২৫০০ টাকা। লোকসভা ভোটের আগে এই নয়া প্রকল্পের মাস্টার স্ট্রোকে প্রকল্পের সুবিধা নিতে জেলার চাষিদের মধ্যে উন্মাদনা শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয় কোনও চাষি মারা গেলে মৃত চাষির পরিবারকে এই প্রকল্প থেকে এককালীন দুই লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। যদিও প্রকল্পের এই স্কিমে এখনও পর্যন্ত জেলায় কোনও চাষির নাম পায়নি কৃষি দপ্তর। এই স্কিমে দু’তিন জন চাষির নাম আসায় তাদের কথা ভাবা হচ্ছে বলে কৃষি দপ্তর জানিয়েছে।
জেলা কৃষি দপ্তর এই প্রকল্পে চাষিদের নাম নথিভুক্তের বিষয়ে মৌজাভিত্তিক ক্যাম্প ও প্রচারের কথা বললেও আরএসপি প্রভাবিত সারা ভারত সংযুক্ত কিষাণ সভার জেলা সম্পাদক জ্ঞানেন্দ্র নাথ দাস বলেন, এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে শুধুমাত্র বেছে বেছে শাসক দল আশ্রিত চাষিদের নামই নথিভুক্ত করা হচ্ছে। বিরোধী দলের চাষিরা এই প্রকল্পের কোনওরকম সুবিধাই পাচ্ছে না। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃণালকান্তি রায় বলেন, এই প্রকল্পে নাম তোলার জন্য এলাকায় কোনও প্রচার বা ক্যাম্পই করা হয়নি। ফলে জেলার বহু চাষি এই প্রকল্প সম্পর্কে সম্পূর্ণ অন্ধকারে। আমাদের দাবি দলমত নির্বিশেষে সমস্ত চাষিকেই এই প্রকল্পের সুবিধা দিতে যা যা করা দরকার তা করতে হবে। জেলা পরিষদের কৃষি, সেচ ও সমবায় স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের সন্তোষ বর্মন বলেন, জেলায় বিরোধী দলগুলি এখন জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন। তারা জানেই না চাষিদের এই প্রকল্পে নাম তোলার আগে মৌজাভিত্তিক প্রচার ও ক্যাম্প করা হয়েছে।