প্রেম-প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
এতদিন বাঁশের সাঁকো দিয়ে দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এলাকার মানুষকে পথ চলতে হতো। কখনও বা ভরা বর্ষায় সাঁকো তলিয়ে গেলে ফুলে ওঠা কালিন্দ্রী নদী পার হওয়ার ভরসা ছিল নৌকা। সেই সংকট কাটাতে মৌসম নূর ছাড়াও এদিন বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় সহ বিশিষ্টরা কাজ শুরুর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই মৌসম বলেন, দু’টি ব্লকের যোগাযোগের ক্ষেত্রে ওই সেতুর বিশেষ ভূমিকা আছে। হাজার হাজার মানুষের সংকটের কথা ভেবেই বিধায়ক ও সংসদ সদস্যদের টাকা মিলিয়ে একটি প্রকল্প করার ভাবনা হয়েছিল। কংক্রিটের সেতু করতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু সেখানে কোটি টাকার বেশি প্রয়োজন। ফলত বাঁশের সাঁকো অপেক্ষা অনেক বেশি নিরাপদ ও স্থায়ী কাঠের সেতু করা হচ্ছে। আমি আমার তহবিল থেকে ২৫ লক্ষ টাকা দিয়েছি। আরেক সংসদ সদস্য আবু হাসেম খান চৌধুরী(ডালু) ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। দুই বিধায়কও পাঁচ লক্ষ টাকা করে দিয়েছেন। ওই কাজ দ্রুত শেষ করতে বলেছি। যাতে মানুষ দ্রুত নতুন সেতুর সুবিধা পেতে পারেন। এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় বলেন, দু’টি ব্লকের অন্তত ৪০টি গ্রামের মানুষ এর জেরে উপকৃত হবেন। পাশাপাশি, ভরা বর্ষায় নদী পার হওয়ার ভয় এড়াতে মানুষকে অন্তত ২০ কিমি পথ অতিরিক্ত যাতায়ত করতে হতো। সেই ভোগান্তিও কমবে। সেতুটি ১৩৭ ফিট লম্বা ও ১২ ফিট চওড়া হবে। স্থানীয় বাসিন্দা ভুবন কুমার, আজহার আলিরা বলেন, সেতু কাঠের হলেও বাঁশ দিয়ে পার হওয়ার ঝুঁকি থাকছে না। এতেই অনেকটা রক্ষা।
মালদহের কালিন্দ্রী নদী আড়াইডাঙার কাছে দু’টি ব্লককে বিভাজিত করে গিয়েছে। নদীর একদিকে রতুয়া-২ ব্লকের আড়াইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত আছে। সেখানকার পীরপুর, যোগিনিপাড়া, ব্রাহ্মণপাড়া সহ বহু গ্রাম আছে। আবার নদীর অন্যদিকে আছে মানিকচকের নূরপুর ও চৌকি মিরজাতপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। এই দুই এলাকার মধ্যে থাকা আড়াইডাঙা স্কুলে দু’পারেই প্রচুর ছেলেমেয়ে পড়াশুনা করে। কাছে হওয়ার কারণেও মানিকচক থেকে বহু শিক্ষার্থী আসে। আবার আড়াইডাঙা স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি’র সুবিধা নিতেও মানিকচকের মানুষকে নদী পেরিয়ে আসতে হতো। নদী এড়িয়ে আসতে চাইলে অন্তত ২০ কিমি বাড়তি যাতায়ত করতে হতো। আবার নদীতে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো, যা বর্ষার সময় জলস্রোতে ভেসে যাওয়াই ভবিতব্য ছিল। এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামবাসীরা একটি সেতুর দাবি জানিয়েছিলেন। এরপরেই সংসদ সদস্য মৌসম নূর ওই সেতু করে দেবেন বলে সম্প্রতি গ্রামবাসীদের আশ্বাস দিয়েছিলেন। বুধবার সেই কাজেরই আনুষ্ঠানিক সূচনা হল। এদিন কালিন্দ্রীর দু’পাড়ের বাসিন্দারাই অনুষ্ঠানে ভিড় করেছিলেন।