প্রেম-প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার জেলার সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রীর ভালো কাজেরও সমালোচনা করে। চা শ্রমিকদের কাছে সরাসরি পরিষেবা পৌঁছে দিতে রাজ্য সরকারে এমন উদ্যোগ নিয়েছে। এর পেছনে লোকসভা নির্বাচনের কোনওকরম সম্পর্ক নেই।
আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, রেশন কার্ডের জন্য আবেদনকারী শ্রমিকদের আবেদনপত্র ইতিমধ্যেই ডেটাবেসে নিথিভুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। সেগুলি খাদ্য দপ্তরের কলকাতা অফিস থেকে চেন্নাইয়ে পাঠানো হচ্ছে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে চেন্নাই থেকে শ্রমিকদের ডিজিটাল রেশন কার্ড জেলায় চলে আসবে। তারপর আমরা ধাপে ধাপে তা বণ্টন করব।
আলিপুরদুয়ারের খাদ্য নিয়ামক দাওয়া ওয়াংদেন লামা বলেন, জেলার ৫৯টি চা বাগানের মধ্যে ৩৩টি চা বাগানে সরাসরি গিয়ে আমরা আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছি। এখনও পর্যন্ত ১৫০০ আবেদনপত্র নেওয়া হয়েছে। বাগানে গিয়ে শ্রমিকদের রেশন কার্ডের এই আবেদনপত্র নেওয়ার কাজ ধারাবাহিকভাবেই চলবে।
জেলা খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৩৩টি চা বাগানের মধ্যে মাদারিহাট ব্লকে সবচেয়ে বেশি এই অভিযান চালানো হয়েছে। মাদারিহাট ব্লকে এখনও পর্যন্ত সরাসরি ১৮টি চা বাগানে গিয়ে রেশন কার্ডের জন্য শ্রমিকদের আবেদনপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকি ১৫টি বাগানের মধ্যে কুমারগ্রাম ব্লকের আটটি, কালচিনি ব্লকের ছ’টি এবং ফালাকাটা ব্লকে একটি চা বাগানে এই আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়েছে।
‘আপনার বাগানে প্রশাসন’ এই সরকারি কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জেলা প্রশাসন সরাসরি বাগানগুলিতে গিয়ে শিবির করে শ্রমিকদের কাছ থেকে রেশন কার্ডের জন্য আবেদনপত্র জমা নিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশে গত ২২ জুলাই কালচিনির বন্ধ মধু চা বাগান দিয়ে জেলা প্রশাসনের এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। দপ্তরের দাবি, প্রতিটি শিবিরেই ভালো সাড়া মিলছে।