পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ
প্রেসিডেন্টের দৌড় থেকে বাইডেনের সরে দাঁড়ানোকে স্বাগত জানালেও হ্যারিস নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেননি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের প্রাক্তন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। বাইডেনের সরে দাঁড়ানো বা কমলা হ্যারিসের মনোনয়নের সম্ভাবনা ঘিরে ডেমোক্র্যাট শিবির উদ্বেল হলেও তা নিয়ে বিশেষ দুচিন্তা নেই রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের। রবিবার বাইডেনের সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পরেই মুখ খুলেছেন ট্রাম্প। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া ‘ট্রুথ’-এ সাফ জানান, প্রেসিডেন্ট পদের লড়াইয়ের জন্য বাইডেন সক্ষম নন। এমনকী বর্তমান প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর কার্যক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। বাইডেনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে খারাপ প্রেসিডেন্ট বলেও কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি। পাশাপাশি, নিশানা করেছেন কমলা হ্যারিসকেও। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘বাইডেনের তুলনায় হ্যারিসকে হারানো তুলনায় আরও সহজ হবে।’
৫ নভেম্বর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ইতিমধ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে প্রচারে ঝড় তুলেছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি আটলান্টায় একটি বেসরকারি চ্যানেল আয়োজিত ৯০ মিনিটের বিতর্কসভায় বাইডেনকে সবদিকে টেক্কা দেন তিনি। পেনসিলভেনিয়ার বাটলারে নির্বাচনী জনসভায় রিপাবলিকান প্রার্থীর উপর হামলার পর দেশজুড়ে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয় একাধিক সংবাদমাধ্যমও। সেই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পকে কতটা চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারবেন বাইডেন, তা নিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্ন ওঠে। শেষ পর্যন্ত খোলা চিঠি দিয়ে প্রার্থীপদের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন বাইডেন। চিঠিতে ৮১ বছর বয়সি এই ডেমোক্র্যাট লেখেন, ‘দেশের স্বার্থে এবং দলের স্বার্থে আমার সরে দাঁড়ানো প্রয়োজন। আমার মেয়াদের বাকি সময়টুকু একনিষ্ঠ ভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করে যেতে চাই।’