লন্ডন ও নয়াদিল্লি: ফের লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ খলিস্তানপন্থীদের। গত রবিবার ইন্ডিয়া হাউসে হামলা চালিয়েছিল খলিস্তানপন্থীরা। তার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করে ব্রিটিশ সরকার। ব্যারিকেডে ঘিরে ফেলা হয় চত্বর। এরইমধ্যে হাই কমিশনের সামনে জড়ো হয় পাঞ্জাবের ফেরার খলিস্তানি নেতা অমৃতপালের প্রায় হাজার দু’য়েক সমর্থক। আগের দিনের মতো তাণ্ডব চালাতে না পারলেও তাদের বিক্ষোভ স্লোগানেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। হাই কমিশন, ওই চত্বরে মোতায়েন পুলিস ও সংবাদমাধ্যমকে লক্ষ্য করে তারা জলের বোতল ও পাথর ছোড়ে তারা। পাল্টা ভবনের ছাদে আরও একটা বিশাল তিরঙা উড়িয়ে জবাব দেয় ভারতীয় হাই কমিশন। ওয়ারিশ পাঞ্জাব দে’র সমর্থকদের বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে এলাকায় তৎপরতা বাড়ায় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী বরাদ্দ করা হয়। উল্লেখ্য, এর আগের দিনের হামলার ঘটনায় ক্ষোভের কথা ব্রিটেনকে জানিয়ে দিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। এরইমধ্যে বুধবার দিল্লিতে ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনে থেকে সরানো হল ব্যারিকেড।স্বভাবতই প্রশাসনের এই পদক্ষেপে ব্রিটিশ দূতাবাসের নিরাপত্তা যে খানিকটা কমল, তা বলাই বাহুল্য। লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে খলিস্তানিদের হামলার পরই দিল্লি পুলিসের এই পদক্ষেপে জোর জল্পনা ছড়িয়েছে। অবশ্য, মুখে বলা হচ্ছে, পথচারীদের সুবিধার্থেই এই পদক্ষেপ। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা,
রবিবারের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ভারত সরকার নয়াদিল্লিতে ব্রিটিশ দূতবাসের সামনে থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে বুধবার কৌশলে কড়া বার্তা দিল সুনাক প্রশাসনকে। অবশ্য, ব্যারিকেড সরানো নিয়ে কূটনৈতিক লড়াইয়ের কথা মুখে স্বীকার করা হচ্ছে না।
এদিকে, খলিস্তানপন্থীরা ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালানোর পরই নয়াদিল্লিতে জরুরি তলব করা হয় ব্রিটেনের ডেপুটি হাইকমিশনারকে। তাঁর কাছে উদ্বেগ ব্যক্ত করা হয়। ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতও খলিস্তানিদের ওই হামলার নিন্দা করেন।