গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
১৭ বছর বয়সে সেনা অ্যাকাডেমিতে যোগ দেন ‘মোহাজির’। সামরিক পোশাকে কেরিয়ার শুরু থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত গোটাটাই ছিল নাটকীয়তায় মোড়া। বিতর্ক ও বজ্রকঠিন ব্যক্তিত্বের বিরল মিশেলে তৈরি ছিলেন অবিভক্ত ভারতের দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করা পারভেজ। কূট-কৌশলে অনেককেই পিছনে ফেলে পাক সেনার শীর্ষ পদে বসেন। ১৯৯৯ সালে লাহোরে অটলবিহারী বাজপেয়ি ও নওয়াজ শরিফ ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তিতে সই করেন। তবে সেই স্থিতাবস্থা বেশিদিন স্থায়ী হতে দেননি মোশারফ। কার্গিল যুদ্ধ বাধিয়ে দেন। তাতে শোচনীয় পরাজয়ের পর শুরু করেন কেরিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংস। মরিয়া হয়ে ওঠেন প্রশাসক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে। রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানে গদিচ্যুত করেন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে। এরপর পাকিস্তানের মুখ্য প্রশাসক থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্ট— বিভিন্ন পদে বসে প্রায় একদশক দেশশাসন করেছেন তিনি। সেই মোশারফকেই ২০১৯ সালে দেশদ্রোহে দোষীসাব্যস্ত করা হয়। তারপর স্বেচ্ছানির্বাসনে দুবাইয়ে চলে যান তিনি। মৃত্যু সেখানেই।