রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এর আগে চীনা মহাকাশ সংস্থাকে নাসার তরফে আর্জি জানানো হয়েছিল, তারা যেন এমনভাবে রকেট তৈরি করে যাতে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার সময় সেগুলি নিজেরাই ছোট ছোট টুকরোয় ভাগ হয়ে যেতে পারে। ঠিক যেমনটা বলা রয়েছে আন্তর্জাতিক আইনে। যদিও অভিযোগ উঠেছে, চীনের অর্ধনির্মিত মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগংয়ের উদ্দেশে সাম্প্রতিককালে যে ক’টি রকেট পাঠিয়েছে বেজিং, সেগুলির একটিও এই নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়নি।
বর্তমানে যে চীনা রকেটের টুকরোগুলি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে, তার নাম ‘লং মার্চ ৫’। গত রবিবার এক গবেষণাগার বা ‘ল্যাব মডিউল’ নিয়ে তিয়ানগংয়ের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল সেটি। এরপর গত বুধবার বেজিংয়ের তরফে জানানো হয়, রকেটটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে এবং তার টুকরোগুলি পৃথিবীর উপর আছড়ে পড়বে। তবে, সেগুলি সমুদ্রে পড়ার সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু, আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানী মহলের আতঙ্ক দূর হচ্ছে না। কারণ, ২৫ টন ওজনের ওই ধ্বংসস্তূপের কয়েকটি টুকরো বসতিপূর্ণ অঞ্চলের উপর পড়ার আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ক্যালিফোর্নিয়ার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এইরোস্পেস কর্পোরেশন জানিয়েছে, আগামী রবিবার ১২ টা ২৪ মিনিটের (জিএমটি) ১৬ ঘণ্টা আগে বা পরে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে রকেটের টুকরোগুলি। সংস্থার অনুমান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, ভারত কিংবা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কোনও অংশে সেগুলি আছড়ে পড়তে পারে।
এর আগে ২০২০ সালের মে মাসে এমনই একটি ভাঙা চীনা রকেটের বিরাট টুকরো আইভরি কোস্টের বসতিপূর্ণ এলাকায় আছড়ে পড়েছিল। তাতে প্রাণহানি না ঘটলেও কয়েকটি সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছিল।