বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
২০০৬ সালে পালাক্কাড ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বি টেক পাশ করে উচ্চশিক্ষার জন্য ব্রিটেনে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে সেখানে একটি বহুজাতিক মোটরগাড়ি নির্মাণ সংস্থায় কর্মরত অশোক। করোনার জেরে লকডাউনে হাতে অনেকটা সময় পেয়েছেন তিনি। আর সেই সময়টাকে কাজে লাগিয়েই বানিয়ে ফেলেছেন স্বপ্নের উড়ান। ছোট মেয়ের নামে বিমানটির নাম রেখেছেন ‘জি-দিয়া।’
বিমানটি তৈরি করতে সময় লেগেছে ১৮ মাস। খরচ হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় এক কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০০ কিমি গতিবেগে উড়তে সক্ষম অশোকের তৈরি ওই এয়ার ক্রাফ্ট। এ জন্য প্রতি ঘণ্টায় জ্বালানি প্রয়োজন ২০ লিটার। ১৮০ লিটার জ্বালানি মজুতের ব্যবস্থা রয়েছে বিমানটিতে।
কীভাবে এয়ারক্র্যাফ্ট তৈরির ভাবনা মাথায় এল? অশোক জানিয়েছেন, ব্রিটেনে ঘরোয়া বিমান বিষয়টি নতুন নয়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেসব বিমান দুই আসনের। প্রথমদিকে তিনি ওই বিমানই ভাড়া করে আকাশে উড়তেন। কিন্তু পরে পরিবার বাড়ে। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে তাঁরা চারজন হন। ফলে দুই আসনের বিমানে তাঁদের জায়গার সঙ্কুলান না হওয়ায় চার আসনের এয়ার ক্রাফ্টের খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু এ ধরনের বিমান সচরাচর পাওয়া যায় না। যাও বা পাওয়া যায়, অনেক পুরনো মডেল। ফলে নিজেই একটি এয়ার ক্রাফ্ট বানাবেন বলে ঠিক করেন তিনি। এ জন্য জোহানেসবার্গের একটি সংস্থায় গিয়ে কীভাবে কাজ হয়, তা খুঁটিয়ে দেখেন। তার পর যন্ত্রাংশ কিনে ধীরে ধীরে নিজেই বিমান তৈরির কাজ শুরু করে দেন। মাঝেমধ্যে এসে তাঁর কাজ দেখে যান ব্রিটেনের অসামরিক বিমান পরিবহণ কর্তৃপক্ষের আধিকারিকরা। তাঁরাও অশোকের কাজে খুশি।