কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রবিবার ব্রঙ্কসে ১৮১ নম্বর স্ট্রিটে টুইন পার্কের একটি বহুতলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। প্রথমে নীচতলায় আগুন লাগে। এরপর অল্প সময়ের মধ্যে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা বহুতল। কুণ্ডলী পাকিয়ে সেই কালো ধোঁয়া ক্রমশ উপরের দিকে উঠতে শুরু করে। তার সঙ্গে কমতে থাকে অক্সিজেনের পরিমাণ। আতঙ্কিত বাসিন্দারা তখন জানালা ভেঙে ফেলেন। কেউ কেউ আবার ভিজে তোয়ালে দরজায় টাঙিয়ে রাখেন। কিন্তু এসব সত্ত্বেও বাঁচানো যায়নি ১৯ জনকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মৃত শিশুদের যখন আবাসন থেকে বের হচ্ছিল, তাদের অনেকের মুখ ছিল কালিমাখা। দমবন্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাদের। আহতদের দ্রুত অক্সিজেন দিতে হয়েছে। বহুতলেj একটি অকেজো বৈদ্যুতিক হিটার থেকে আগুন লাগে বলে দমকলের প্রাথমিক অনুমান। সেটি আবার এক আবাসিকের বেডরুমে ছিল। সেখান থেকেই আগুন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সেখানে দ্রুত চলে যান দমকল ও উদ্ধারকর্মীরা। প্রায় ২০০ জন দমকলকর্মী কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিভিয়ে ফেলেন। উঁচু মই দিয়ে আটকে পড়া বাসিন্দাদের নীচে নামিয়ে আনা হয়। নিউ ইয়র্ক শহরের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের কমিশনার ড্যানিয়েল নিগ্রো বলেন, দমকলকর্মীরা প্রত্যেক তলায় কাউকে না কাউকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁর কথায়, কালো ধোঁয়ার ঘনত্ব এতটাই বেশি ছিল যে কেউ কিছু দেখতে পাচ্ছিলেন না। যে কারণে নীচে নেমে আসতে পারেননি। অগ্নিকাণ্ডে ১৯ জনের মৃত্যু ছাড়াও ৬০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, আগুন লাগার পর ফায়ার অ্যালার্মও নাকি বেজেছিল। ওই আবাসন থেকে নিরাপদে উদ্ধার হওয়া লুইস রোসা নামে এক মহিলার কথায়, এই বহুতলে প্রায়ই বিনা কারণে ফায়ার অ্যালার্ম বাজে। তাই কেউ বিশেষ পাত্তা দেননি। যে কারণে এতবড় ক্ষতি হয়ে গেল। নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামাস বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই বহুতলের বেশিরভাগ বাসিন্দা মূলত আফ্রিকা ও গাম্বিয়া থেকে এসেছেন। উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে নিউ ইয়র্কের একটি আবাসনে আগুনে মৃত্যু হয়েছিল ১৬ জনের।