পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অপরদিকে ফেনি জেলায় কয়েকটি মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি হিন্দু ব্যবসায়ীদের দোকানে লুটপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। হামলা চালানো হয় মন্দির ভাঙচুরের প্রতিবাদে শামিল হওয়া বিক্ষোভকারীদের উপরও। পুলিস ও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে ব্যাপক সংঘর্ষ বেধে যায়। ফেনি মডেল থানার পুলিস অফিসার সহ কমপক্ষে ৪০ জন এই ঘটনায় আহত হন। রবিবার চট্টগ্রামে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উড়িয়ে দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। আমরা মনে করি, মন্দিরে হামলার ঘটনা সবটাই পরিকল্পিত, যার প্রধান লক্ষ্য বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিকস্তরে নষ্ট করা। সংখ্যালঘুদের বিতাড়িত করে গোটা দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় একটি গোষ্ঠী।’
একইসঙ্গে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি। কমিটির সভাপতি মিলনকান্তি দত্ত বলেন, দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল কাদের আশ্বাস দিয়েছেন। বাংলাদেশে ইসকনের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী হুঁশিয়ারির সঙ্গে বলেন, ‘মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনায় নীরব থাকবে না দেশের সংখ্যালঘুরা। আমি মনে করি একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী ধর্মীয় সম্প্রতি নষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে। কিছু ক্ষমতাসীন ব্যক্তিও এই ধরনের জঘন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের দাবি, তিনি যেন কঠোর হাতে পরিস্থিতি দমন করেন।’ বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দচন্দ্র প্রামাণিক বলেন, পরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিরতা তৈরির জন্য এসব ঘটানো হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে তাঁদের বিচার করতে হবে। অন্যথায় হিন্দু মহাজোট বড়সড় আন্দোলনে নামবে।
কুমিল্লায় পুজোমণ্ডপে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। মন্ত্রী বলেন, ‘তদন্ত যেভাবে এগচ্ছে আমরা আশা করছি, খুব শীঘ্রই দোষীদের গ্রেপ্তার করতে পারব।’ ঢাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় চার হাজার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিস। পল্টন ও রমনা থানায় মামলাগুলি দায়ের হয়েছে। তবে হাজীগঞ্জে হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণ ও দশ বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে বলে খবর রটেছিল। ওই খবর গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির হাজীগঞ্জ জেলার সভাপতি বাবু রুহিদাস বণিক। এদিন ঢাকায় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র জোট, বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদ, শারদাঞ্জলি ফোরাম, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাসঙ্ঘ, বাংলাদেশ সনাতন কল্যাণ জোট ও জাগো হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে মানববন্ধন তৈরি করে ঘটনার নিন্দা জানানো হয়। নাসিরনগর, রাউজান, ফটিকছড়ি, কক্সবাজার, দিনাজপুর, সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর কয়েক ডজন হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে সংগঠনগুলির তরফে অভিযোগ করা হয়।