রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
জার্মান সাংবাদিক কার্ল ভন ওসিয়েৎজকির পর এই প্রথম কোনও সাংবাদিক নিজের দেশের সরকারের দুর্নীতির গোপন তথ্য প্রকাশ্যে এনে নোবেল পেলেন। অকুতোভয়, তথ্যনির্ভর সাংবাদিকতার মাধ্যমে যুদ্ধপরবর্তী সময়ে জার্মান সরকারের নতুন করে সশস্ত্রীকরণ প্রকল্পের কিছু গোপন তথ্য প্রকাশ্যে এনে ১৯৩৫ সালে নোবেল পেয়েছিলেন ওসিয়েৎজকি। সেই একই পথে হেঁটে এবার নোবেল-ভাগ্যে শিঁকে ছিঁড়ল মুরাটভেরও। রাশিয়ার তদন্তমূলক সংবাদপত্র ‘নোভায়া গেজেটা’র এডিটর-ইন-চিফ হিসেবে ভ্লাদিমির পুতিন সরকারের বহু দুর্নীতিকে দিনের আলোয়ে এনেছেন মুরাটভ। বিশেষ করে ইউক্রেন-সংঘাত নিয়ে তাঁর তদন্তমূলক প্রতিবেদন যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলেছে ক্রেমলিনকে। যদিও, খোদ ক্রেমলিন থেকেই এদিন এই পুরস্কার পাওয়ার জন্য সরকারিভাবে মুরাটভকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচভের পর রাশিয়ান হিসেবে মুরাটভ নোবেল পেলেন। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ১৯৯০ সালে পাওয়া নোবেল পুরস্কারের টাকা দিয়েই ‘নোভায়া গেজেটা’ গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিলেন গর্বাচভ। সেদিক থেকে দেখতে গেলে একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ করলেন মুরাটভ।
অন্যদিকে, ২০১২ সালে ডিজিটাল মিডিয়া সংস্থা ‘র্যাপলার’ প্রতিষ্ঠাতা করেন ফিলিপিন্সের মারিয়া রেসা। তদন্তমূলক সাংবাদিকতার মাধ্যমে পুলিসের মাদক বিরোধী অভিযানের আড়ালে গণহত্যা সহ রডরিগো দুতার্তে সরকারের একাধিক অনৈতিক কর্মকাণ্ডের পর্দা ফাঁস করে প্রচারের আলোয় আসেন মারিয়া। সরকারের বিষনজরে থাকার জেরে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও এমনই একটি মামলায় গত আগস্টে ফিলিপিন্সের আদালত মারিয়াকে নির্দোষ তকমা দিয়েছে। এদিন নোবেল কমিটির ঘোষণার পর তিনি বলেন, ‘আমি এখনও ঘোরের মধ্যে রয়েছি।’ আগামী ১০ ডিসেম্বর প্রাপকদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেবে নোবেল কমিটি।