কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
দোহায় যেভাবে আফগানিস্তানের পালাবদল নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেই ধাঁচেই জার্মানি কাবুলে সরকার গঠন নিয়ে তালিবানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। কিন্তু জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেছেন, সেই আলাপ আলোচনার শর্তই হল আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসের আঁতুরঘরে পর্যবসিত করা চলবে না। আফগানিস্তানের মাটিকে সন্ত্রাসবাদীরা যেন জঙ্গি চক্রান্তের ঘাঁটি হিসেবে গড়ে না তোলে। সরাসরি পাকিস্তানের নাম করেই জার্মানি জানিয়েছে, আফগানিস্তান যেমন নিজেদের মাটিকে সন্ত্রাসে ব্যবহার করবে না, পাকিস্তানও যেন না করে। এই একই কথা আমরা প্রত্যেকটি রাষ্ট্রকেও জানিয়েছি বলে জানিয়েছেন লিন্ডনার। তিনি বলেছেন, আফগানিস্তান তালিবানের দখলে চলে আসার পর সেখানে সন্ত্রাসের বাড়বাড়ন্ত হতে পারে, এই আশঙ্কাই ভারত জানিয়েছে। আমরা ভারতের এই উদ্বেগের সঙ্গে সহমত।
সম্প্রতি ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হয়। একদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডাকা চার রাষ্ট্রের নয়া অক্ষ কোয়াড বৈঠকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে পাকিস্তান ও চীনকে। একইভাবে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর বলেছেন, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদীদের সক্রিয়তা সর্বজনবিদিত। পাকিস্তান তাদের অবিলম্বে নিয়ন্ত্রণ করুক। আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসের ভরকেন্দ্র করা যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভা উপলক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে একের পর এক বৈঠক ও বিবৃতিতে পাকিস্তান রীতিমতো কোণঠাসা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল ঠিক ভারতের সুরেই বলেছে, আফগানিস্তানকে পুতুল করে জঙ্গি সংগঠনের নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত করা যাবে না। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে গ্রহণ করা ২৫৯৩ নং প্রস্তাবই বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে ব্যবস্থাগ্রহণের চালিকাশক্তি হবে বলেই ভারতসহ তাবৎ রাষ্ট্রগুলি জানিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে যে আন্তর্জাতিক মহলের সংশয় কাটেনি এবং ভারতের পাশে এই ইস্যুতে প্রত্যেকের সমর্থন আছে সেটা ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। জার্মানি সাধারণত অত্যন্ত সতর্কভাবে যে কোনও বিষয়ে বিবৃতি প্রদান করে। সেই জার্মানী সোমবার যেভাবে সরাসরি বলেছে যে, ভারতের উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ আছে এবং তারা ভারতের পাশে, সেটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।