রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে জবাব দিতে গিয়ে গম্ভীর বলেছিলেন, প্রাচীণ যুগের শিক্ষার পীঠস্থান ছিল তক্ষশীলা। সেই তক্ষশীলার দেশ এখন সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষে পৌঁছেছে। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে জবাব দিয়ে বিদিশা বলেছিলেন, যারা ঘৃণার আদর্শ থেকেই জঙ্গি-শিল্প গড়ে তোলে, অন্তত তাদের কাছ থেকে কোনও কথা শোনার প্রয়োজন ভারতীয় নাগরিকদের নেই। এবার স্নেহাও সেই পথে হাঁটলেন। পাকিস্তানকে তীব্র আক্রমণ করে স্নেহা বললেন, এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যে, এই দেশটি প্রকাশ্যে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। ওমনকী ওসামা বিন লাদেনকেও তারা আশ্রয় দিয়েছিল। তাকে শহিদ বানিয়েছে পাকিস্তানই। স্নেহার অভিযোগ, এই দেশটি দমকলকর্মীদের ছদ্মবেশে আসলে আগুন লাগায়। এরা জঙ্গিদের মদত দেয় স্রেফ একটাই আশায়—প্রতিবেশীর ক্ষতি হবে। শুধুমাত্র তাদের নীতির কারণে আমরা তো বটেই সমগ্র বিশ্বই এর ফল ভুগছে। গোয়ায় স্কুলিং শেষ করে পুনের ফার্গুসন কলেজ থেকে উচ্চতর শিক্ষার ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। অবশেষে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে এমফিল করেন স্নেহা। পড়াশোনায় বরাবর তুখড় তিনি। প্রথমবারের চেষ্টাতেই ২০১১ সালে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপরই ফরেন সার্ভিসে কাজ করা নিয়ে তাঁর শৈশবের স্বপ্ন সফল হয়। জানা গিয়েছে, তিনি নাকি মাত্র ১২ বছর বয়স থেকেই আইএফএস আধিকারিক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর বাবা একটি বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করেন। মা স্কুল শিক্ষিকা। আইএফএসের প্রশিক্ষণ শেষ করার পর স্নেহা বিদেশমন্ত্রকে কাজ শুরু করেন। ২০১৪ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার আগে মাদ্রিদে থার্ড সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করেছেন।
বরাবরই ঘুরতে ভালোবসেন স্নেহা। এক সাক্ষাৎকারে স্নেহা বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে পড়াশুনা, নানা সংস্কৃতি আবিষ্কারের উত্তেজনা এবং মানুষকে সাহায্য করার ইচ্ছা বরাবরই ছিল। সেই আকাঙ্ক্ষাই ফরেন সার্ভিসে যোগ দিতে তাঁকে প্রেরণা যুগিয়েছে।