বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শুক্রবার মোদি এবং বাইডেনের বৈঠকের পর ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রীংলা জানিয়েছেন, সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারত যেভাবে সভাপতিত্ব করেছে অস্থায়ী সদস্য হিসেবে, সেটা আমেরিকাকে মুগ্ধ করেছে। বিশেষত আফগানিস্তান ইস্যুতে। সেকথা স্বয়ং জো বাইডেন বৈঠকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সেই সময়ই বাইডেন মোদিকে বলেন, ভারতের নিরাপত্তা পরিষদে স্থান পাওয়া অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত দাবি। আমেরিকা মনে করে এই আবেদন অবিলম্বে মঞ্জুর হওয়া উচিত। আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে মোট সদস্য ১৫টি দেশ। তাদের মধ্যে স্থায়ী সদস্যপদ পাঁচটি দেশের। যাদের বলা হয় পি ফাইভ। আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন, রাশিয়া, চীন। ভারতসহ ১০টি দেশ অস্থায়ী সদস্য। বিশ্বকূটনীতির উপর সর্ববৃহৎ প্রভাব এই পাঁচটি দেশের। কারণ, তারা স্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য দেশগুলির মেয়াদ ২ বছর হয়। ভারত মোট সাতবার নির্বাচিত হয়েছে অস্থায়ী সদস্য হিসেবে। কিন্তু স্থায়ী সদস্য হিসেবে দাবিটি বারংবার আটকে দিয়েছে চীন। নিউক্লিয়ার্স সাপ্লায়ার্স গ্রুপে ভারতের আবেদন গ্রাহ্য হলে পাকিস্তান কী দোষ করল? আর ভারত স্থায়ী সদস্য হয়ে গেলে উপমহাদেশে শক্তির ভারসাম্যে বৈষম্য তৈরি হবে। এটাই চীনের যুক্তি। যা বারংবার আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেনের মতো দেশগুলি মেনে নিতে নারাজ। তারা ভারতের স্থায়ী সদস্যপদে রাজি। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণেই নিয়ম হল, স্থায়ী সদস্যের একটি দেশও যদি ভেটো দেয় অর্থাৎ সহমত না হয়, তাহলে সেই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হবে না। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি সেই অবস্থায় অনেকটাই বদল এনেছে। তালিবান, পাকিস্তান এবং চীন এই তিনটি অক্ষ নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক মহল। আর তাই এখন ভারতকে আরও শক্তিশালী দেখতে চাইছে তারা।
দক্ষিণ চীন সাগরে বেজিংয়ের আগ্রাসন এবং আফগানিস্তানকে ভরকেন্দ্র করে আবার আল কায়েদার বেড়ে ওঠার দ্বৈত আতঙ্ক গ্রাস করেছে আমেরিকাকে। ঠিক এই কারণে ভারত বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সুতরাং আবার ভারত নিউক্লিয়ার্স সাপ্লায়ার্স গ্রুপ এবং নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার দাবি নিয়ে সরব হতে চলেছে। কোয়াড সম্মেলনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দর মোদির সঙ্গে জো বাইডেন, ইয়োশিহিদে সুগা এবং স্কট মরিসন। ছবি: পিটিআই