সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
সম্প্রতি আফগানিস্তানে মাদ্রাসা সহ সরকারি-বেসরকারি স্কুল খোলার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তালিবান সরকার। কিন্তু মেয়েদের জন্য খোলেনি স্কুলের দরজা। তালিবানের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ছাত্র-ছাত্রী উভয়েই। রীতিমতো প্রকাশ্যে বেরিয়ে স্কুলের দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত করার দাবি জানাচ্ছে তারা। ওই কিশোরী তাদেরই একজন প্রতিনিধি। খুদে পড়ুয়াদের নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সে। তার সেই আন্দোলনের একটা ভিডিও ক্লিপিংস ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সৌজন্যে আফগান সাংবাদিক বিলাল সরওয়ারি। রকেট গতিতে ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিওটি। তালিবানি শাসনে কিশোরীর ‘দুঃসাহস’ দেখে স্তম্ভিত নেটিজেনরা। কেউ কেউ তাকে কুর্নিশ করে লিখেছেন—‘তুমি আফগান নারী সমাজের অহঙ্কার। পাহাড় ঢাকা পড়ে গিয়েছে তোমার ‘উচ্চতা’য়।’ কেউ আবার মন্তব্য করেছেন, ‘মহিলাদের শিক্ষার অধিকার ছিনিয়ে আনতে তোমার অদম্য লড়াইয়ে আমরা পাশে রয়েছি…গো অ্যাহেড।’
লড়াই জারি রেখে সত্যিই এগিয়ে চলেছে ওই আফগান কিশোরী। মহিলাদের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা কতখানি তা ক্ষুরধার যুক্তিতে বোঝাচ্ছে তালিবান সরকারকে। আর বোঝাতে গিয়ে উদ্ধৃতি দিচ্ছে আল্লাহ’র বাণী। ভাইরাল হওয়া ভিডিও বার্তায় তাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘ছেলে-মেয়ের সমান অধিকারের কথা বলেছেন আল্লাহ। তা হলে কেন, আমাদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখবেন আপনারা (তালিবান)। আমরাও শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে চাই দেশকে। উন্নয়নের শরিক হতে চাই।’ একই সঙ্গে সে এটাও বলছে, ‘আজ আমরা মেয়ে, কাল আমরা মা। আমাদেরকে শিক্ষার বাইরে রাখলে আগামী প্রজন্ম কী শিখবে? রীতিনীতি, ধ্যান-ধারণা তৈরি হবে কী করে? আজকের দিনে কোনও দেশ কি মহিলাদের শিক্ষা ছাড়া এগতে পারে?’