কাবুল: প্রতিশ্রুতিই সার। ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়ার উপর ইতিমধ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এবার অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করলেও কোনও মহিলাকে ঠাঁই দিল না তালিবান। মঙ্গলবার ডেপুটি মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করেছে তালিবান নেতৃত্ব। কিন্তু সব সদস্যই পুরুষ। তালিবানের এই কাণ্ড দেখে হতাশ আন্তর্জাতিক মহলও। আফগানিস্তানের নয়া তালিবান সরকারের বিচার হবে তাদের কাজের মাধ্যমে। সরকারের স্বীকৃতিও নির্ভর করছে মহিলা ও সংখ্যালঘুদের সঙ্গে তাদের আচরণ কেমন হবে তার উপর। সম্প্রতি অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে কাবুলের রাস্তায় প্লাকার্ড হাতে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন মহিলারা। অথচ এসবের তোয়াক্কা না করেই সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় কোনও মহিলাকে জায়গা দিল না তালিবান। তবে শীঘ্রই মেয়েদের স্কুলে ফেরানো হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে তারা। এদিন ঠিক কতজনকে রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে, তা অবশ্য খোলসা করা হয়নি। গত ৮ সেপ্টেম্বর ৩৩ জন মন্ত্রীকে নিয়ে সরকার গঠন করা হবে বলে জানিয়েছিল তালিবান। নয়া সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোল্লা হাসান আখুন্দের নাম ঘোষণা করা হয়। এদিন তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, হাজারা সম্প্রদায়ের মতো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে হয়তো মহিলারাও মন্ত্রিসভায় জায়গা পাবেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলকে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তালিবান মুখপাত্রের কথায়, ‘আমাদের সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রসঙ্ঘ ও অন্যান্য দেশের। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এশিয়া এবং ইসলামিক দেশগুলির উচিত আমাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখা।’
সরকার গঠনের পর ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে পাঠরত ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তালিবান। তবে এই সিদ্ধান্ত সাময়িক ছিল বলে জানান তালিবান মুখপাত্র। জাবিউল্লাহ বলেন, যত দ্রুত সম্ভব মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। গত শনিবার ছেলেদের জন্য স্কুল খুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে আফগানিস্তান সরকার। কিন্তু শিক্ষাদপ্তরের বিবৃতিতে আফগান মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার কথা উল্লেখ ছিল না।