পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রাশিয়ার জাতীয় ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি (আইনশৃঙ্খলা) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এদিন সকালে আচমকাই বন্দুক হাতে নিয়ে এক যুবক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। এরপরই সে স্বয়ংক্রিয় বন্দুক দিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। পড়ুয়াদের মধ্যে তখন হুলস্থুল পড়ে যায়। বন্দুকবাজকে আটকাতে শ্রেণিকক্ষে ঢোকার মুখে টেবিল-চেয়ার দিয়ে ব্যারিকেড গড়ে তোলেন তাঁরা। স্থানীয় টিভি চ্যানেলে একতলা জানালা দিয়ে কয়েকজনকে ঝাঁপ দিতেও দেখা যায়। অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়া সেমন কারিয়াকিন নামে এক পড়ুয়া বলেন, ঘটনার সময় আমরা ক্লাসে ৬০ জনের মতো ছাত্রছাত্রী ছিলাম। বাইরে গুলির শব্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চেয়ার দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে ফেলি। এদিকে সিসিটিভি ফুটেজে মুখ ঢাকা কালো পোশাক পরে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেখা গিয়েছে বন্দুকবাজকে। হেলমেটও পরা ছিল তার মাথায়। তবে হামলার পর দ্রুত পড়ুয়াদের ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটি, জানিয়েছে ঘটনায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম ছয়। তবে পার্ম স্বাস্থ্যদপ্তরের মতে আহতের সংখ্যা অনেক বেশি। প্রায় ২৪ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৯ জন বুলেটবিদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের হামলার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিস ও তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা বন্দুকবাজকে ধরতে বেশি সময় নেননি। নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে সে মারাত্মকভাবে জখম হয়েছে। তার বয়স ১৮ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। ওই পড়ুয়া হামলার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিল। সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল বলে অনুমান। হামলার কারণ জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই ঘটনাকে দেশের ইতিহাসে কালোদিন বলে বর্ণনা করেছেন। সরকার বন্দুক আইন নিয়ে কড়াকড়ির প্রতিবাদে চলতি বছরের মে মাসে কাজানে একটি স্কুলের সাতজন শিশু ও দু’জন শিক্ষককে গুলি করে হত্যা করেছিল এক কিশোর।