বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে দু’দিনের এসসিও সম্মেলন। এই প্রথম তা হবে হাইব্রিড ফরম্যাটে। তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এমোমালি রহমান বৈঠকের সভাপতিত্ব করলেও, ভার্চুয়াল উপস্থিত থেকে প্লেনারি সেশনে ভাষণ দেবেন মোদি। জয়শঙ্কর ছাড়াও সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন সংগঠনের সদস্য দেশের নেতা-নেত্রী, পর্যবেক্ষক দেশ, এসসিওর সেক্রেটারি জেনারেল, তুর্কমেনিস্তানের প্রেসিডেন্ট, এসসিও রিজিওনাল অ্যান্টি টেররিস্ট বিভাগের অধিকর্তা এবং অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিরা। সূত্রের খবর, এসসিওর সদস্য দেশের প্রধান এবং কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনের প্রধানদের সঙ্গে আফগানিস্তান নিয়ে আলোচনা করবেন জয়শঙ্কর। এটা হল চতুর্থ পূর্ণাঙ্গ এসসিও সম্মেলন যেখানে ভারত অংশগ্রহণ করছে।
এবার এসসিও সম্মেলনের ২০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, নেতা-নেত্রীরা সংগঠনের গত ২০ বছরের কার্যকলাপ এবং ভবিষ্যৎ রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করবেন। এছাড়া, তাজিক রাজধানীতে ইরান, তাজিকিস্তান সহ বিভিন্ন দেশের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে একগুচ্ছ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন জয়শঙ্কর। সেখানে স্থান পেতে চলেছে এই মুহূর্তের সবথেকে আলোচনা বিষয় আফগানিস্তান ইস্যু। কেননা, ভারত যে বিপুল অর্থ ব্যয় করে সেখানে পরিকাঠামো উন্নয়ন করেছে, তালিবান শাসনে সেগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় রয়েছে নয়াদিল্লি। এর আগে ইরানের নবনিযুক্ত বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন জয়শঙ্কর।
ন্যাটোর বিকল্প হিসেবে ২০০১ সালে সাংহাইয়ে গড়ে ওঠে এসসিও। উপস্থিত ছিলেন রাশিয়া, চীন, কিরগিজ রিপাবলিক, কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট। ২০১৭ সালে সংগঠনের স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে পাকিস্তান।