কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সোমবার একটি অডিও রেকর্ড তালিবানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। তালিবান মুখপাত্র ওই অডিও ট্যুইটারে শেয়ার করে বলেছেন, বরাদর যে বেঁচে আছেন এটাই তার প্রমাণ। বরাদর নিজেই ওই অডিও বার্তায় বলছেন, প্রধানমন্ত্রী এবং হাক্কানি শিবিরের অন্য নেতাদের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনি আহত অথবা নিহত হয়েছেন বলে যে প্রচার চলছে, তা অসত্য। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, হঠাৎ এই অডিও বার্তা কেন? বরাদর কোথায়? কেন তালিবানকে এভাবে নিজেদের ট্যুইটারে বিশ্ববাসীকে জানাতে হচ্ছে বরাদরের বেঁচে থাকার সংবাদ? বরাদর যদি সুস্থ থাকেন, তাহলে তিনি কেন নিজেই প্রকাশ্যে সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না? অথবা ভিডিও বার্তা প্রকাশ করা হচ্ছে না?
আফগানিস্তানের সংবাদ মাধ্যমকেও এই ব্যাপারে কোনও সঠিক সংবাদ ও সূত্র দিচ্ছে না তালিবান শাসককুল। সুতরাং সরকার পুরোদস্তুর কাজ শুরু করার আগেই যে, তালিবানের অন্দরের ঝগড়া চরম আকার নিয়েছে, সেই সন্দেহ তীব্র হচ্ছে। এতটাই গোষ্ঠী-সংঘাত চলছে যে, দোহায় আমেরিকা ও অন্য রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে আলোচনায় থাকা তালিবান গোষ্ঠীর সঙ্গে পাকিস্তানের আঙ্গুলিহেলনে চলা কট্টরপন্থী ও হাক্কানিপন্থী সন্ত্রাসবাদী অংশের বাক্যালাপ পর্যন্ত নেই। এর উপর বিগত ১০ দিন ধরে ঠান্ডাযুদ্ধ চলছে। আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষের উপর গুলি চালনা কিংবা আবার ১৯৯৬ থেকে ২০০০ সালের প্রবণতা ফিরিয়ে আনার প্রবল বিরোধী ছিল তালিবানের একাংশ। যারা আমেরিকার সঙ্গে শান্তি বৈঠক করে ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ মসৃণ করার পক্ষপাতী ছিল। ২০২১ সালে আর পুরনো তালিবানি প্রথা বেশিদিন চালু রাখা সম্ভব নয় বলেই বিশ্বাস এই অংশটির। আর এই অংশকেই সন্তর্পণে ক্ষমতার বৃত্তের বাইরে রেখে দিয়েছে পাকিস্তান। যা নিয়ে এবার তালিবানের অন্দরমহলে আগুন জ্বলতে শুরু করেছে। সুতরাং, কবে নতুন তালিবান সরকারের পথ চলা শুরু হবে সেটা আপাতত অনিশ্চিত।