কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তাতেও অবশ্য নিশ্চিন্ত হতে পারছে না মোল্লা মহম্মদ হাসান আখুন্দরা। ‘ব্ল্যাক লিস্ট’ কাঁটাই ভাবাচ্ছে তালিবানকে। সদ্য গঠিত মন্ত্রিসভার অধিকাংশই জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য রয়েছে আমেরিকার সেই কালো তালিকায়। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন। তাই এখনই তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে চাইছে না তারা। অন্যদিকে, আমেরিকা কালো তালিকা নিয়ে সরব হয়ে দোহা চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলেও অভিযোগ তালিবানের। তাদের দাবি, অন্তর্বর্তী সরকারে অন্তর্ভুক্ত কাউকে কালো তালিকায় রাখা যাবে না। বিশেষ করে হাক্কানি পরিবারের সদস্যদের। কারণ, সদ্য গঠিত তালিবান সরকারে অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী হয়েছে হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান জালালউদ্দিন হাক্কানির ছেলে সিরাজউদ্দিন। তার মাথার দাম ১০ মিলিয়ন ডলার। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিষিদ্ধ তালিকাতে নাম রয়েছে সিরাজউদ্দিনের। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। কারণ এর থেকেই স্পষ্ট, তালিবানের সঙ্গে কুখ্যাত জঙ্গি গোষ্ঠী হাক্কানি নেটওয়ার্কের ঘনিষ্ঠতা। তালিবানের অবশ্য পাল্টা দাবি, হাক্কানি সাহেবের পরিবারের সদস্যরা ইসলামিক এমিরেটের সদস্য। তাদের আলাদা কোনও নাম বা সংগঠন নেই। দোহা চুক্তি অনুসারে ইসলামিক এমিরেট সরকারের অন্তর্ভুক্ত সবাইকে আমেরিকা ও রাষ্ট্রসঙ্ঘের কালো তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
হাক্কানি গোষ্ঠীকে সম্পর্কে বরাবর কড়া মনোভাব বজায় রেখে চলে ওয়াশিংটন। এটি আফগানিস্তানের অন্যতম সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। তালিবানকে নানাভাবে সাহায্য করে তারা। যুদ্ধের জন্য সদা প্রস্তুত বাহিনীও রয়েছে তাদের। জুনে প্রকাশিত এক রিপোর্টে এমনই দাবি করেছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। আর আফগানিস্তানে নতুন সরকারে সেই নেটওয়ার্কের দুই সদস্য সিরাজউদ্দিন হাক্কানি ও তাঁর কাকা খলিল হাক্কানি স্থান পেয়েছেন। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এখনই তারা কাবুলের অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুমোদন দিচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে তাড়াহুড়োও করতে চাইছে না তারা। বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন পাসকি বলেন, ‘আফগানিস্তানে আটকে থাকা নাগরিকদের ফেরাতে তালিবান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হবে। তবে তাদের অনুমোদন দেওয়া হবে না। এখনই বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করার মতো জায়গায় যায়নি তালিবান সরকার। চার নিষিদ্ধ জঙ্গিকে স্থান দেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভায়।’