পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মঙ্গলবারই কট্টর মৌলবাদী মোল্লা মহম্মদ হাসান আখুন্দের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা করেছে তালিবান। অন্যান্য সদস্যদেরও দপ্তর ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে বসেছেন হক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান তথা আন্তর্জাতিক জঙ্গি তকমা পাওয়া সিরাজুদ্দিন হক্কানি। এ প্রসঙ্গে চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘আমরা ওদের সরকার গঠনের উপর নজর রেখেছি। এর মাধ্যমে তিন সপ্তাহের বেশি ধরে চলা আফগানিস্তানে নৈরাজ্যের অবসান হল। দেশের আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার এবং যুদ্ধ পরবর্তী পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে সরকার গঠন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।’
বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই কথাতেই স্পষ্ট যে, তালিবান সরকারকে সমর্থন জুগিয়ে পরোক্ষে আমেরিকাকেই টার্গেট করতে চাইছে চীন। তারাই আফগানিস্তানে নৈরাজ্যের পরিবেশ সৃষ্টির নেপথ্যে, সেকথাই বোঝাতে চেয়েছেন ওয়াং। যদিও আফগানভূমকে জঙ্গি-মুক্ত রাখার অবস্থানে অনড় বেজিং। এপ্রসঙ্গে ওয়াং বলেছেন, ‘আমাদের আশা, আফগানিস্তান সকলকে নিয়ে একটি রাজনৈতিক কাঠামো তৈরি করবে। সেখানে অভ্যন্তরীণ ও বিদেশ নীতির ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা ও বিচক্ষণ নীতি গ্রহণ করা হবে। যাতে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকে।’
এদিকে, আফগানিস্তানে তদারকি সরকারে তালিব সদস্য ছাড়া কাউকে স্থান দেওয়া হয়নি। অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি কোনও মহিলা প্রতিনিধিকে। ফলে সেই সরকার নিয়ে আগ বাড়িয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না আমেরিকা। এপ্রসঙ্গে মার্কিন বিদেশ দপ্তর বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘আমরা ওদের ঘোষিত মন্ত্রিসভার সদস্যদের তালিকা দেখেছি। তাদের প্রত্যেকেই হয় তালিবান, নয়তো ঘনিষ্ঠ। তারা কোন কোন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এবং তাদের অতীতের কার্যকলাপ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’