কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তারিখটা কয়েকদিন আগের, ২৪ জুলাই। সাল ১৯৬৯। চন্দ্রবিজয় করে সবে ফিরেছেন ‘অ্যাপোলো ১১’-র তিন মহাকাশচারী—নীল আর্মস্ট্রং, এডউইন অলড্রিন ও মাইকেল কলিন্স। ৮ দিনের মহাকাশযাত্রা। মাঝে ২০ জুলাই প্রায় ২২ ঘণ্টা কেটেছে চাঁদে। উত্তেজনা ও ধকলে কাবু তিনজনে। কিন্তু, সরকারি নিয়ম বড় বালাই! পৃথিবীতে নামার পর কোথায় তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে, তা নয় যেতে হল কাস্টমসের লাইনে। সেখান থেকে ফিরে এসে তারপর ফুল-মালার পালা। এতদিন পর সেই অভিজ্ঞতা নিয়েই ট্যুইটারে রসিকতা করেছেন ‘অ্যাপোলো ১১’-র চালক অলড্রিন। লিখেছেন, ‘একবার ভাবুন, আটদিন আমরা মহাকাশে কাটিয়েছি। প্রায় ২২ ঘণ্টা চাঁদে ছিলাম। বাড়ি মানে পৃথিবীতে ফিরেছিলাম কেবল কাস্টমসে যেতে হবে বলে।’ সঙ্গে দেওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে ‘জেনারেল ডিক্লারেশন’ শীর্ষক ফর্মটি। সেখানে জ্বলজ্বল করছে কোথা থেকে তাঁরা আসছেন সেই নাম—চাঁদ। সঙ্গে মালপত্রের বিবরণ, ‘মুন রক অ্যান্ড মুন ডাস্ট স্যাম্পলস’ (চাঁদের পাথর এবং ধুলোর নমুনা)। আর্মস্ট্রং, অলড্রিন এবং কলিন্স তিনজনেরই সই রয়েছে তাতে। উল্লেখ্য, কলিন্স চাঁদে পা রাখেননি। ২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন ওয়েবসাইটে এই ফর্মটি প্রকাশ করা হয়েছিল। চেনাজানা ইতিহাসের মধ্যে লুকিয়ে থাকা টুকরো মজার খোরাক চোখ এড়ায়নি নেটিজেনদের। অলড্রিনের এই ট্যুইট এখন ভাইরাল। নানা টিপ্পনিও উড়ে এসেছে। একজন বলেছেন, ‘কিছু জিনিস ইতিহাসের থেকেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, পেপারওয়ার্ক। ওঁরা এই ফর্ম পূরণ না করলে কি হতো? মহাকাশে ফেরত পাঠিয়ে দিত?’ কারও আবার ঠাট্টা, ‘এসব আসলে মহাকাশচারীদের অটোগ্রাফ সংগ্রহের কায়দা।’ এমন কাণ্ডকারখানার হদিশ উস্কে দিয়েছে মহাকাশপ্রেমীদের কৌতূহলও। অলড্রিনের ট্যুইটার থেকে প্রাপ্ত ছবি।