পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ওল্ড ইংলেন্ডডিউ হুইস্কির ওই বোতলটি সিল করা হয় ১৮৬৫ সাল নাগাদ। যদিও তার ভিতরে যে তরল রয়েছে, সেটি আরও ১০০ বছর আগে তৈরি বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। বোতলটির গায়ে একটি লেবেল সাঁটা রয়েছে। তাতে লেখা, সম্ভবত ১৮৬৫ সালে বোতলটি সিল করা হয়। এটি জে পি মরগ্যান নামে এক বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে পাওয়া যায়। তিনিও আর একজনের কাছ থেকে পেয়েছিলেন এই পানীয়।
অষ্টাদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে আমেরিকার পেনসিলভানিয়াতে প্রথম হুইস্কি তৈরি শুরু হয়। ১৭১৬-১৭ সাল নাগাদ বস্ত্রশিল্পে মন্দার কারণে আইরিশ আর স্কটরা দলে দলে আমেরিকায় অনুপ্রবেশ করতে থাকে। স্কট অনুপ্রবেশকারীরা হুইস্কি বানানোর কাজে মন দিতেই পশম আর বন্দুকের সঙ্গে এটি হয়ে ওঠে বিনিময় মাধ্যম। কিন্তু ১৭৯১ সালে নতুন সরকার অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবিলায় হুইস্কির উপর বিশেষ কর বসায়। যার ফল হয় ভয়াবহ। শুরু হয় বিক্ষোভ। অবশেষে হুইস্কি-বিদ্রোহ দমনে নামাতে হয় সেনা। শুরুর সেসব দিনের সঙ্গেই এই বোতলের মদের নানা কাহিনি জড়িয়ে রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই ইতিহাসকে মনে করিয়ে দিতেই এটি রাখা হয়েছে জাদুঘরে।
উনবিংশ শতকের গোড়ায় জে পি মরগ্যান জর্জিয়া থেকে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন এই হুইস্কি কিনেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। একই ধরনের তিনটি বোতল ছিল। দু’টি বোতল তিনি দিয়ে দেন দুই প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান ও ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টকে। তাঁরা মরগ্যানের সম্পর্কিত আত্মীয় ছিলেন। মরগ্যানের মৃত্যুর পর তাঁর ছেলের হাতে আসে অবশিষ্ট একটি বোতল। তিনি আবার সেটি ১৯৪২-৪৪ সালের মধ্যে দক্ষিণ ক্যারোলিনার গভর্নর জেমস বারনেসকে দেন। ১৯৫৫ সালে তাঁর মেয়াদ শেষের আগে বারনেস সিল না খোলা ওই হুইস্কির বোতলটি উপহার দেন তাঁর বন্ধু নৌবাহিনীর আধিকারিক ফ্রান্সিস ড্রেককে। তাঁর তিন প্রজন্মের কাছেই সংরক্ষিত ছিল বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ওই হুইস্কি। তবে এটি বর্তমানে পানযোগ্য নয় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু গুরুত্বের বিচারে তা মহা মূল্যবান।