বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত পাঁচবছর ধরে খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশে দাসু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলছে। পাকিস্তান এবং চীন উভয় দেশের শ্রমিকরা সেই কাজে নিযুক্ত। জানা গিয়েছে, বাসের যাত্রীদের মধ্যে কমপক্ষে ৪০ চীনা নাগরিক ছিলেন। প্রত্যেকেই ইঞ্জিনিয়ার ও শ্রমিক। খাইবার পাখতুনওয়ার জেলা কমিশনার আরিফ জাভেদ জানান, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্দেশে যাওয়ার সময়েই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর খাদ থেকে হেলিকপ্টারে করে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। কোহিস্তানের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার আসিম আব্বাসি জানান, ‘বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। তবে বাসে কী ধরনের বিস্ফোরণ ঘটেছিল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।’ বাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কথা তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন। অবশ্য বাসের ভিতর কোনও বিস্ফোরক রাখা ছিল কি না, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কিন্তু একে নিছক দুর্ঘটনা হিসেবে মেনে নিতে নারাজ বেজিং। চীনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান সরাসরি জঙ্গি বিস্ফোরণ আখ্যা দিয়ে কড়া নিন্দা করেছেন। পাকিস্তান সরকারের কাছে তাঁর আর্জি, বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে যেন কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়। চীনা দূতাবাসের এহেন দাবিতে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এব্যাপারে খাইবার পাখতুনওয়া সরকারের মুখপাত্র কুমার বঙ্গেশ বলেন, ‘সবরমক সম্ভাবনাকে সামনে রেখেই ঘটনার তদন্ত চলছে। কিন্তু এখনই একে জঙ্গিহামলা হিসেবে দেখাটা উচিত হবে না। স্রেফ অনুমানের ভিত্তিতে এধরনের খবর প্রকাশ না হওয়ায়ই বাঞ্ছনীয়।’