পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ইউরোতে অভিযান শুরুর আগে ঘটা করে বর্ণবিদ্বেষ দূর করার জন্য হাঁটু গেড়ে বসে শপথ নিয়েছিল গ্যারেথ সাউথগেটের দল। বিভিন্ন বর্ণ ও সম্প্রদায়ের ফুটবলারকে নিয়ে গঠিত ইংল্যান্ড দলের এই মানসিকতা ফুটবল মহলের প্রশংসাও কুড়িয়েছিল। কিন্তু খেতাবি লড়াইয়ে টাই-ব্রেকারে হারের পর ইংলিশদের আসল রূপ বেরিয়ে পড়ে। পেনাল্টি কিক নষ্ট করা স্যাঞ্চো, র্যাশফোর্ড ও সাকাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘বাঁদর’ আখ্যা দিতেও দ্বিধাবোধ করেনি তারা। ইংরেজ সমর্থকদের এমন জঘন্য মনোভাবের নিন্দায় সরব গোটা বিশ্ব। অগত্যা তড়িঘড়ি বিবৃতি জারি করে এফএ জানিয়েছে, ‘আমাদের কয়েকজন খেলোয়াড়ের প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য দেখে আমরা স্তম্ভিত। খেলার মাঠ থেকে বর্ণবৈষম্য দূর করতে আমরা চেষ্টা করছি। তার পরেও এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। সরকারের কাছে এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে আমরা জানাতে চাই, দোষীদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়।’ ইতিমধ্যে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিস সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্ণবৈষম্যমূলক অপরাধ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
মজার ব্যাপার হল, বর্তমান ইংল্যান্ড দলের অর্ধেক সদস্যই বংশসূত্রে নন-ব্রিটিশ। সাউথগেটের বেছে নেওয়া ২৬ ফুটবলারের মধ্যে ১৩ জনেরই বাপ-ঠাকুরদা বাইরে থেকে এসেছেন। তাঁদের ছাড়া ফাইনালে ওঠা সম্ভবপর হতো না ইংল্যান্ডের। তারপরেও স্যাঞ্চো, র্যাশফোর্ডদের এমন দশায় হতবাক ইংল্যান্ড শিবির। কোচ গ্যারেথ সাউথগেট খেদের সুরে বলেছেন, ‘দেশের জার্সি গায়ে সেরাটা উজাড় করে দিয়েছে ছেলেরা। এমন আচরণ তাদের প্রাপ্য নয়। যারা এমনটা করেছে তারা ক্ষমারও অযোগ্য।’ ইংল্যান্ডের স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি প্যাটেলের প্রতিক্রিয়া, ‘দেশের জন্য যে ফুটবলাররা মরিয়া লড়াই করেছে, তাদের প্রতি এমন লাঞ্ছনা ও অপমান বরদাস্ত করা হবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ প্রিন্স উইলিয়ামও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন।
তবে শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় গালমন্দ নয়, লন্ডনের রাজপথেও অশালীন আচরণ করেছে হুলিগানরা। ইতালি সমর্থকদের মাটিতে ফেলে মারধর করা হয়েছে। আজ্জুরিদের সমর্থন করা ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের শুনতে হয়েছে ‘দেশদ্রোহী’ অপবাদ। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে লিখেছিলেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়রা রোল মডেল’। তাঁরা হিরো। কিন্তু নায়কের সম্মানই যে আজ ধূলিসাৎ!