বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে কনস্যুলেট সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হচ্ছে না। তবে কান্দাহারের পরিস্থিতি ভালো নয়। শহরের কাছেই সংঘর্ষ চলছে। তাই কিছুদিনের জন্য ভারতীয় আধিকারিক ও নিরাপত্তাকর্মীদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের তাঁরা কাজে যোগ দেবেন। আপতত স্থানীয় কর্মীরাই কনসুলেটের কাজকর্ম চালাবেন।
সম্প্রতি তালিবান জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তোইবা। প্রায় ৭ হাজার লস্কর জঙ্গি তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। ফলে আফগান সেনার সঙ্গে সংঘর্ষ আরও তীব্র হয়েছে। একের পর এক এলাকা দখল করছে তালিবান। বাড়ছে মৃত্যুও। বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষকে পণবন্দি করছে জঙ্গিরা। যদিও আফগান সেনার দাবি, তারাও প্রত্যাঘাত শুরু করেছে। শনিবার পর্যন্ত ৭০ তালিবান জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। এই সব খবর পেয়ে ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নরেন্দ্র মোদি সরকার। তাই এক সপ্তাহের মধ্যে ৫০ জন আধিকারিককে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলাকে বিস্তারিত জানিয়েছেন আফগান রাষ্ট্রদূত ফারিদ মামুদজাই। সূত্রের খবর, ভারতীয়দের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। যদিও তাতে বিশেষ ভরসা করতে পারছে না নয়াদিল্লি। তাই একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহেই ভারতীয় দূতাবাস একটি অ্যাডভাইজারি জারি করেছে। তাতে সদ্য আফগানিস্তানে যাওয়া, সেখানে বসবাসকারী এবং কর্মরতদের চূড়ান্ত সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ বৃদ্ধি পাওয়ায় খুব দরকার না পড়লে সমস্ত যাত্রা বাতিল করার অনুরোধ করেছে দূতাবাস।