পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
করোনা মহামারীর ধাক্কা সামলে পশ্চিমী দুনিয়া যে অর্থনেতিক ক্ষেত্রে চীনের মোকাবিলা করতে সক্ষম, এই বিষয়টিকেই তুলে ধরতে মরিয়া বাইডেন প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, এই সফরে সুস্পষ্ট বিদেশনীতিই মেলে ধরবেন বাইডেন। বিশ্বের বিপন্ন গণতন্ত্রকে রক্ষা করাই এখন তাঁর প্রথম ও প্রধান চ্যালেঞ্জ। প্রথমেই জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত (কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, ব্রিটেন এবং আমেরিকা) দেশের সম্মেলনে (১১-১৩ জুন) যোগ দিতে ব্রিটেনে যাবেন বাইডেন। আমেরিকার সঙ্গে ইউরোপের এই প্রধান দেশগুলির বন্ধুত্ব যে অটুট, পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে সেই বার্তাই দিতে চান বাইডেন। নিরাপত্তার কারণে জার্মানির মতো ইউরোপের কিছু দেশ আমেরিকার সাহায্য চায়। কিন্তু, ফ্রান্স আগের মতো আমেরিকাকে এতটা বিশ্বাস করতে বা বাইডেন প্রশাসনের উপর নির্ভর করতে রাজি নয়। বরং তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরও স্বায়ত্তশাসন চায়। এই পরিস্থিতিতে বাইডেনের এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এছাড়া, চীনের মোকাবিলায় জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য কী আর্থিক পরিকাঠামো ঘোষণা করে, সেদিকেও সকলের নজর থাকবে। এর আগে হংকংয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমিয়ে রাখার জন্য চীনের ভূমিকা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কোনওরকম কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। উইঘুর মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চীনের আপত্তিকর আচরণের পরও তারা নীরব থেকেছে। কিন্তু, এবারের সম্মেলনে এই সব বিষয় নিয়ে যে কাটাছেঁড়া হবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। প্রসঙ্গত, জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গত মার্চে চীনের চার পদস্ত কর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে বেজিংও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সমালোচক ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এবং ইউরোপীয়দের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।