কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সাধারণ মানুষের তুলনায় অনেক বেশি বুদ্ধিমান ছিলেন আইনস্টাইন। এমন একজন বিজ্ঞানী যাঁর আইকিউ (বুদ্ধিমত্তা) ছিল বেশ প্রখর। তবে আইনস্টাইন কখনও বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষায় অংশ নেননি। ধারণা করা হয়, তাঁর আইকিউ পয়েন্ট ছিল ১৬০। এখানে অবশ্য দয়াল উচ্চ বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। আর তাতেই নজরকাড়া স্কোর করে সে সবাইকে চমকে দিয়েছে। বাবা সরবজিতের কথায়, ও যখন হামাগুড়ি দিতে শিখেছে, তখন থেকেই বিষয়টি লক্ষ্য করতাম। তবে আমার মেয়ে যে এত প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন হবে, তা কখনও ভাবিনি। মেয়ে যখন নার্সারি স্কুলে পা রাখে, তখনই ওর বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে আমারা নিশ্চিত হই। নার্সারির ম্যানেজার আমায় চিঠি লিখে জানান, তাঁরা যে মান নির্ধারণ করেছিলেন, তার চেয়ে দয়াল অনেক এগিয়ে রয়েছে। দয়ালের মতো এমন বুদ্ধিমত্তা কারও ভিতর দেখেননি। এরপরই মেয়েকে উচ্চ বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষায় বসানোর সিদ্ধান্ত নেন ওই শিশুর বাবা-মা। ২০২০ সালের ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় সেই পরীক্ষা। সেখানে পাঁচ বছরের শিশুদের জন্য নির্বাচিত অঙ্ক দয়াল নিমেষে সমাধান করে দেয়। অর্জন করে ৯৯.৯ শতাংশ নম্বর। তখন দয়ালের বয়স মাত্র তিন বছর ১১ মাস।
বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষায় নজর কাড়ার পরই এজবাস্টনের একটি বেসরকারি স্কুল থেকে দয়ালকে ভর্তি করানোর জন্য অফার আসে। স্কুলের তরফে জানানো হয়, তারা ওই শিশুর জন্য ফি কমাতেও রাজি। কিন্তু তারপরও ওই স্কুলে পড়ানোর খরচ সাধ্যের মধ্যে নয় বলে জানিয়ে দেন সরবজিৎ। বরং তিনি মেয়েকে এলাকারই একটি প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করেন। সেখানেই দয়াল পড়ছে। সে ৯-১০ বছরের ছেলেমেয়েদের সঙ্গেই সময় কাটাতে বেশি ভালোবাসে। বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষার মূল্যায়ণকারী লিন কেন্ডাল তাঁর রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন, আক্ষরিক অর্থেই দয়াল ব্যতিক্রমী। তার বয়সে সে যে প্রতিভার পরিচয় দিয়েছে, এককথায় তা অবিশ্বাস্য। অভিভাবকদের উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, বাড়িতে শুধুমাত্র ইংরেজি, অঙ্ক না করিয়ে শিশুটি যা ভালোবাসে, সেটিই করানো হোক। কোনও বিষয় যেন তার উপর চাপিয়ে না দেওয়া হয়। বর্তমানে দয়ালের ১৮ মাসের এক বোন রয়েছে। নাম কল্যাণ। সেও এখন থেকেই দিদির পথ অনুসরণ করতে শুরু করেছে।