কাঠমাণ্ডু: মধ্যরাতে জরুরি বৈঠক শাসক শিবিরের। তারপরই সরকার ভাঙার প্রস্তাব। সেই মতো শনিবার সরকার ভেঙে নেপালে মধ্যবর্তী নির্বাচন ঘোষণা করলেন রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রাজনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিল বিরোধী জোট। সরকার ভাঙার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রবিবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তাদের অভিযোগ, সংবিধানের অপব্যবহার করে নিজের স্বার্থে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি সরকার ভেঙেছেন। শনিবার ২৭৫ সদস্যের সংসদ ভেঙে ১২ ও ১৫ নভেম্বর নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির মতে, কেউই সরকার গড়তে সমর্থ হবেন না বুঝতে পেরেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মধ্যরাতে মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব গৃহীত হয়। সেই অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই সবর হয় বিরোধীরা। উদ্বেগ প্রকাশ করে নেপাল কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী জোট দাবি করে, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি অসাংবিধানিক কাজ করেছেন।
নেপাল কংগ্রেসের অভিযোগ, তাদের সরকার গড়ার সুযোগ না দিয়ে ওলিকেই প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল রাখেন রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি। শুধু তাই নয়, ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে সরকার ভেঙে দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি সংবিধানকে নিজের সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের।