কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
সম্প্রতি গাজা শহরে ভয়াবহ এয়ার স্ট্রাইক চালায় ইজরায়েলের বিমানবাহিনী। ঈদের উৎসবের রেশ তখনও কাটেনি। বাড়িতে বাড়িতে শিশুদের কোলাহল। শহরের শাতি উদ্বাস্তু শিবির লাগোয়া এলাকায় হাদিদির খুড়তুতো ভাইয়ের বাড়ি। তাঁর স্ত্রী মহা আবু হাতাব (৩৬) চার ছেলে সুহাহিব (১৩), ইয়াহা (১১), আবদ্রেহামন (৮) এবং ওসামা (৫ মাস)-কে নিয়ে সেখানে খুশির ঈদ পালন করতে গিয়েছিলেন। তখনই বিমান থেকে একের পর এক বোমা পড়তে শুরু করে। মুহূর্তেই ধ্বংসস্তূপের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। বাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় হাদিদির স্ত্রী সহ তিন ছেলের। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে নজর পড়ে ওসামার উপর। মায়ের নিথর দু’বাহুর বেষ্টনীর মধ্যে শুয়ে মিটমিট করে সে তাকাচ্ছে। উদ্ধারকারী দল তড়িঘড়ি তাকে তুলে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওসামার ডান পা গুরুতর চোট পেয়েছে। বেশ কয়েকটি হাড় ভেঙে গিয়েছে। প্লাস্টার করা হয়েছে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। বেঁচে যাওয়া একমাত্র ছেলেকে শনাক্ত করে হাসপাতালে ছুটেছিলেন হাদিদি। ওসামার রক্তাক্ত গালে চুম্বন করছিলেন আর স্বজন হারানোর বিলাপ করছিলেন। কাঁদতে কাঁদতে হাদিদি বলছিলেন, ‘তুই ছাড়া এই পৃথিবীতে আমার আর কেউ নেই। তবুও আর এখানে থাকতে ইচ্ছে করছে না। খুব শীঘ্রই আমরাও ঈশ্বরের কাছে চলে যাব।’
সংঘর্ষ বিরতি: গাজা সিটি ও বেইরুট: গাজায় ১১ দিন ধরে চলা সেনা অভিযানের ইতি। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়ে গেল সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব। শুক্রবার রাত ২টো থেকে প্রস্তাব কার্যকর হচ্ছে। উল্লেখ্য, দু’পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৩০ জন প্যালেস্তিনীয় ও ১২ জন ইজরায়েলের নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। সংঘর্ষ বিরতিকে হামাস যেমন তাদের সাফল্য বলে দাবি করছে, তেমনি নেতানিয়াহুই বলেছেন, এটি ব্যতিক্রমী সাফল্য। এদিন রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের প্রতিনিধি বলেছেন, আলোচনার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে নয়াদিল্লি যথাযথ ভূমিকা নিয়েছিল। এদিকে, হামাসের বিরুদ্ধে বিমানহানা না বন্ধ হলে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল প্রতিবেশী দেশ লেবাননের শক্তিশালী জঙ্গিগোষ্ঠী হেজবোল্লা।