বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিশ্বজুড়ে করোনা টিকার তীব্র সঙ্কট চলছে। তারই মধ্যে আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে টিকার এই অপচয় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ৫৯ হাজার ডোজ টিকা দক্ষিণ সুদান ও ১৬ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা মালাউয়ি ব্যবহার করতে পারেনি। ১৩ এপ্রিল এইসব টিকার মেয়াদ ফুরিয়েছে। আফ্রিকান ইউনিয়নের মাধ্যমে অনুদান হিসেবে পাওয়া এইসব টিকার মেয়াদ শেষ হওয়ায় দেশ দু’টি প্রথমে ওই ডোজগুলি ধ্বংস করতে চেয়েছিল। যদিও, এগুলি এখনও প্রয়োগযোগ্য কি না, তা পরীক্ষার জন্য রেখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কঙ্গো জানিয়েছে, দরিদ্র দেশগুলির জন্য টিকা নিশ্চিত করার বিশ্বব্যাপী কর্মসূচির আওতায় পাওয়া অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১৭ লক্ষ ডোজের বেশিরভাগই তারা ব্যবহার করতে পারেনি। এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত মাত্র এক হাজার ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। ২৪ জুন মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে এই ডোজগুলির। তার আগে এগুলির বড় অংশ আফ্রিকার অন্য দু’টি দেশ টোগো ও ঘানায় পাঠানো হচ্ছে। টোগো ও ঘানায় টিকার প্রাথমিক সরবরাহ শেষ হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, দক্ষিণ সুদান সহ কয়েকটি দেশ বলছে, মেয়াদ শেষের তারিখ নিয়ে তাদের কিছু জানানো হয়নি। নাইজেরিয়া জানিয়েছে, মেয়াদ ফুরানোর আগে টিকার সব ডোজ তারা দিতে পারবে না। সে কারণে কিছু টিকা পাশের দেশ টোগো ও ঘানায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে কেবল টোগো ও গাম্বিয়া টিকার সব ডোজ দেওয়া নিশ্চিত করেছে। আফ্রিকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ফিওনা আতুহেবই জানিয়েছেন, টিকা পাওয়ার আগে বেশিরভাগ দেশই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে পারেনি। তিনি বলেন, টিকা দিতে দেরি হওয়ার পিছনে এটা একটা কারণ। এছাড়া আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়েছে বেশ কিছু দেশ।
আফ্রিকা সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) প্রধান জন কেনগাসং জানিয়েছেন, দেশগুলিতে চিকিৎসাকর্মী বাড়ানো সহ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর মতো উপকরণের সরবরাহ বাড়াতে আরও সহায়তা প্রয়োজন। যাদের টিকা ফুরিয়ে গিয়েছে কিংবা মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে, তাদের অবশ্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিংবা আফ্রিকা সিডিসির সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।