পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আলাদা আলাদা ধর্মীয় পরিচয় এবং ভৌগলিক অবস্থান ও বিষয়ের নিরিখে ২ হাজার ৩০০-র বেশি ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। ২০২০ সালের আগস্ট মাস থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে সমীক্ষাটি চালানো হয়। সেখান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে গবেষণা করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহায্যপ্রাপ্ত থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ১৯২৮ ইনস্টিটিউট। তারাই এই রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, এই সম্প্রদায়ের ৩৬ শতাংশই ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টিকে সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু, আসন্ন স্থানীয় নির্বাচনে সেই ট্রেন্ডে বদল আসতে পারে। তথ্য বলছে, ব্রিটিশ ভারতীয়রা এবার কনজারভেটিভ পার্টির দিকেই খানিকটা ঝুঁকতে পারেন। সেক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ ভারতীয় বংশোদ্ভূতের সমর্থন পেতে পারেন কনজারভেটিভরা। এর তুলনায় সামান্য পিছিয়ে রয়েছে লেবার পার্টি (৩১ শতাংশ)। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২১ থেকে ৫০ বছর বয়সিদের মধ্যেই সবচেয়ে দলবদলের আভাস মিলেছে। এঁদের মধ্যে ৪৫.৯ শতাংশ লেবার পার্টির থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। অন্যদিকে, ৪৮.৮ শতাংশ অংশগ্রহণকারী কনজারভেটিভ পার্টিকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। ২৬ থেকে ৩০ বছর বয়সিদের মধ্যে কনজারভেটিভদের পক্ষে সমর্থনের হার ২ শতাংশ বেশি।
২০২০ সালের আগস্ট মাসে ভৌগলিক অবস্থান ভিত্তিক সমীক্ষায় সিংহভাগ এলাকায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশরা লেবার পার্টিকেই সমর্থনের কথা বলেছিলেন। সেই তালিকায় একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল স্কটল্যান্ড। সেখানে এগিয়ে ছিল কনজারভেটিভ পার্টি।
মূলত পাঁচটি বিষয়কেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশরা। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে শিক্ষা। ৫৪ শতাংশ মানুষ এই বিষয়কেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। এরপরেই রয়েছে স্বাস্থ্য (৫২শতাংশ), পরিবেশ ও আবহাওয়া পরিবর্তন (৪৪ শতাংশ), গার্হ্যস্থ দারিদ্রতা (৩৬ শতাংশ), সাম্য ও মানবাধিকার (৩৩ শতাংশ)। এছাড়া, প্রতি পাঁচজনে চারজন চান, সরকার বর্ণবিদ্বেষ এবং ঔপনিবেশিকতাবাদকে কড়া হাতে দমন করুক। ব্ল্যাক লাইফ ম্যাটার আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল ব্রিটিশ সরকার। সেদিক থেকে তাদের প্রত্যাশা অনেকটাই বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
১৯২৮ ইনস্টিটিউটের সহ প্রতিষ্ঠাতা তথা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ ফেলো কিরণ কৌর মানকু এই রিপোর্ট প্রসঙ্গে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, এই রিপোর্টে ব্রিটিশ ভারতীয়দের দাবি ও প্রয়োজনের পরিষ্কার চিত্র ফুটে উঠেছে। প্রতি চারজনে তিনজন মনে করেন, নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে তাঁদের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নেই। এই পরিস্থিতিতে আমার চাই, সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিতে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।