বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং কৃত্রিম মেধা (এআই) সংক্রান্ত প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছিলেন শুভ্র। তাঁর দাদা বিপ্রজিৎ বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভাই কোনও সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিল না। নিজেই কাজ করত। দীর্ঘদিন ধরেই শুভ্র মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন বিপ্রজিৎ। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক চেষ্টা করেও ওঁকে সুস্থ করতে পারিনি। খুব ভালো আর বুদ্ধিমান ছেলে ছিল।’
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখচোরা স্বভাবের শুভ্রর আচরণে গত কয়েকবছর ধরেই বদল দেখতে পাচ্ছিলেন পরিজনরা। তাঁকে কাউন্সেলিং করানোর পরামর্শও দিয়েছিলেন তাঁরা। বিপ্রজিতের কথায়, ‘মনোবিদের কাছে যেতে বহুবার বলেছিলাম ওকে। কিন্তু, কিছুতেই রাজি করাতে পারিনি। সম্প্রতি ও এক নিউরোলজিস্টের কাছে যাওয়া শুরু করেছিল।’
এদিকে পুলিস তদন্ত করে জানতে পেরেছে, এই মানসিক অসুস্থতা শুভ্রকে আদালত পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়েছিল। ওয়েস্ট থার্টি সেভেন্থ স্ট্রিটের যে অ্যাপার্টমেন্টে ওই যুবক থাকতেন, সেখানকার কমিটি তাঁর বিরুদ্ধে ম্যানহাটন সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল। শুভ্রকে বাড়িছাড়া করার আর্জি জানিয়ে দায়ের করা ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিল্ডিংয়ের ভিতর অরাজকতা চালাচ্ছেন ওই যুবক। কখনও সে প্রোপেন গ্যাসের সিলিন্ডার খুলে ম্যাট্রেসে আগুন ধরিয়ে দেয়। কখনও ছুরি নিয়ে লিফ্টের ভিতর রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটায়। তাঁর কাণ্ডকারখানায় প্রতিবেশীরা তটস্থ। এর সঙ্গে বিল্ডিংয়ে বেআইনি ভাবে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো, একাধিকবার ভুয়ো অভিযোগ করে পুলিস ডেকে আনার অভিযোগও করা হয় শুভ্রর বিরুদ্ধে। যদিও, আদালতে দাঁড়িয়ে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিল শুভ্র।
Pix-17 suvro