কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্বাভাবিকভাবেই বরিস জনসন সরকারের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে পাকিস্তান। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জাহিদ হাফিজ চৌধুরীর পাল্টা দাবি, প্রকৃত তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে এই তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। গোটা বিষয়টিই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে তাঁর আশা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা তথ্যের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে ব্রিটেন নিশ্চয়ই তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে।
ব্রিটেনের এই সিদ্ধান্তে আরও বেকায়দায় পড়ল পাকিস্তান। ভারত বারবার সন্ত্রাসে মদত দেওয়া নিয়ে পড়শি দেশকে কাঠগড়ায় তুলেছে। সন্ত্রাসে আর্থিক মদতের জন্য এফএটিএফের ধূসর তালিকা থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারেনি ইসলামাবাদ। লোক দেখানো কিছু পদক্ষেপ নিলেও তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। এতে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাতের ঘুম উড়ে যাওয়ার জোগাড়। এরমধ্যে ব্রিটেন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় পাকিস্তানের নাম জুড়ে দেওয়ায় আরও গভীর সঙ্কটে পড়ল তারা। এমনকি এফএটিএফের তালিকাতেও বরিস সরকারের সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রিটেন সরকার সূত্রে খবর, করবিধি নিয়ন্ত্রণে পাকিস্তানের কড়া পদক্ষেপ নজরে আসেনি। পাশাপাশি, সন্ত্রাসে ব্যবহৃত অর্থ এবং আর্থিক তছরুপ বন্ধেও যথাযথ ভূমিকা পালন করছে না ইমরান খানের দেশ। তাই ব্রিটেনের ‘ মানি লন্ডারিং অ্যাণ্ড টেরিরিস্ট ফিনান্সিং অ্যামেডমেন্ট (হাই রিস্ক কান্ট্রিস) রেগুলেশন ২০২১’-এর অধীনে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির তালিকায় পাকিস্তানের নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৬ মার্চ থেকে তালিকা কার্যকর হবে।