পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রায় মাস খানেক হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর সম্প্রতি তিনি ছাড়া পান। হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। রাজপরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের গোটা পর্ব রানি ও ফিলিপ উইন্ডসর ক্যাসেলে কাটান। সামান্য কয়েক জন স্টাফ ছিলেন তাঁদের সঙ্গে। জানুয়ারি মাসে দু’জনেই করোনা ভ্যাকসিন নেন।
দীর্ঘ সংসার জীবনের আগে তাঁদের সম্পর্ক প্রেমের কাহিনিতে পরিণত হয়। বিয়ের কিছুদিন পরে এলিজাবেথ তাঁর বাবা-মা’কে একটি চিঠিতে লেখেন, ‘আমরা একে অপরের সঙ্গে এমন ভাবে ব্যবহার করি, যেন আমরা পরস্পরের বহু দিনের চেনা।’ ৫০তম বিবাহবার্ষিকীতে ১৯৯৭ সালে রানি বলেন, ‘আমার জীবনে ওঁর গভীর প্রভাব রয়েছ। উনি আমার শক্তি।’ রাজপরিবারে আধুনিকীকরণে ফিলিপের ভূমিকা ছিল অন্যতম।
১৯২১ সালের ১০ জুন গ্রিস ও ডেনমার্কের রাজপরিবারে জন্ম হয় ফিলিপের। গ্রীকের একটি দ্বীপ কর্ফুতে তিনি জন্ম নেন। সাত বছর বয়সে তিনি ইংল্যান্ডে আসেন। সেখানে ইংল্যান্ডের রাজপরিবারে কেনসিংটন প্যালেসে থাকতে শুরু করেন। সেখানে থেকেই পড়াশোনা চালিয়ে যান। ১৮ বছর বয়সে তিনি রয়্যাল নেভিতে যোগ দেন ও ব্রিটেনের রয়্যাল নেভি কলেজ থেকে গ্রাজুয়েট ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৪৭ সালের ২০ নভেম্বর দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন প্রিন্স ফিলিপ।
স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতের সঙ্গে ফিলিপের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। রাজদম্পতি তিন বার ভারত সফরে আসেন। প্রথমে ১৯৬১ সালে তাঁরা ভারতে আসেন। এর পর আসেন ১৯৮৩ সালে। এর পর ভারতের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দিল্লি আসেন প্রিন্স ফিলিপ ও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।