বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিকে, করোনা মোকাবিলায় তৃতীয় প্রতিষেধক হিসেবে মডার্না ভ্যাকসিনের পুরোদস্তুর প্রয়োগের অনুমতি দিল ব্রিটেন। ফাইজার-বায়োএনটেক এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকার পাশাপাশি সেদেশের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) মডার্না ভ্যাকসিন ব্যবহার করছে। অন্য দু’টির মতো এটিও ‘টু-ডোজ’ ভ্যাকসিন। অর্থাৎ, নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে এই ভ্যাকসিন দু’বার নিতে হবে। মার্কিন বায়োটেক ফার্ম মডার্নার তৈরি এই ভ্যাকসিন গত জানুয়ারিতেই ব্রিটেন প্রশাসনের ছাড়পত্র পেয়েছিল। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে ১ কোটি ৭০ লক্ষ ডোজের অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় কানাডার বৃহত্তম শহর টরন্টোর সমস্ত স্কুল বুধবার বন্ধ করে দেওয়া হল। টরন্টোর মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ ইলিন ডি ভিল্লা এক বিবৃতিতে বলেছেন, যেভাবে সংক্রমণের হার বেড়ে গিয়েছে, তাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত জরুরি ছিল। ওন্টারিওতে একদিনে ৩ হাজারের বেশি মানুষের সংক্রামিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সকলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে একেবারে নাজেহাল অবস্থা। হাসপাতালগুলিতে জায়গা প্রায় নেই বললেই চলে। জুলাইয়ের মধ্যে কানাডার সমস্ত সাবালক যাতে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজটি নিতে পারেন, সেটাই নিশ্চিত করতে এখন মরিয়া প্রশাসন।
ইরানেও সংক্রমণ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। বুধবার ইরানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৮৫৪ জন। পার্সিয়ান নিউ ইয়ার উপলক্ষে পর্যটকদের ঢল নামার কারণেই এই লাগাম ছাড়া বৃদ্ধি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, করোনা সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কের মধ্যেই আশার কথা শুনিয়েছে উত্তর কোরিয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে দেওয়া রিপোর্টে তারা জানিয়েছে, সেখানে করোনা আক্রান্তের কোনও খবর নেই। আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে নিজেদের কার্যত বিচ্ছিন্ন করে রাখার জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। বছর খানেক আগে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর আকার নেওয়ার সময় থেকেই তাদের সীমান্ত কার্যত সিল করে দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সংশ্লিষ্ট দেশে ফেরত পাঠানো হয়। বর্তমানে সীমান্ত পারাপারের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত কড়া ও সতর্ক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তাই গোটা বিশ্ব যখন করোনার দাপটে কোণঠাসা, তখন উত্তর কোরিয়ায় দেখা যাচ্ছে অন্য ছবি। কিম জং উন প্রশাসনের অন্তত দাবি এমনটাই।