রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
ঘটনাটি ঘটেছে রাশিয়ার ব্লাগোভেশচেনস্ক শহরের একটি শতাব্দীপ্রাচীন হাসপাতালে। শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল হাসপাতালের ছাদে। দ্রুত সেই আগুন নীচের দিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। আগুনের ভয়াবহতা এতটাই বেশি ছিল যে ৫৯ জন দমকলকর্মী মিলেও সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেন না। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা একে একে হাসপাতালের ভিতর থেকে ৬৭ জন রোগী সহ ১২০ জনকে বের করে আনেন। কিন্তু, হাসপাতালের দোতলায় তখন এক রোগীর বাইপাস সার্জারি করছিলেন ৮ জন চিকিৎসক। হৃদযন্ত্রের এই জটিল অস্ত্রোপচার বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। সামান্যতম ভুলেও রোগীর প্রাণ যেতে পারে। দোতলার অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে ওই চিকিৎসকদেরও আগুন সম্পর্কে সতর্ক করেন দমকলকর্মীরা। কিন্তু, তাঁদের তখন সেসব শোনার উপায় নেই। ওই রোগীর প্রাণরক্ষাই তখন ওই চিকিৎসকদের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ভ্যালেন্টিন ফিলাটভের কথায়, ‘চারদিকে আগুন জ্বলছিল। আমাদের কোথাও যাওয়ার ছিল না। ওই রোগীর প্রাণ বাঁচানোটাই তখন মুখ্য হয়ে উঠেছিল। ওই মুহূর্তে যা করণীয় ছিল, করেছি।’
অস্ত্রোপচার মাঝপথে থামানো যাবে না বুঝতে পেরে দমকলকর্মীরাও চিকিৎসকদের সাহায্য করতে উদ্যোগী হন। সেইমতো অপারেশন থিয়েটারের বিদ্যুৎ সংযোগ অব্যাহত রাখতে আলাদা তারের ব্যবস্থা করা হয়। এরপর একসময় ওটিতে ধোঁয়া ঢুকতে শুরু করে। তখন দমকলকর্মীরাই নাগাড়ে কম্প্রেসড এয়ার যন্ত্র দিয়ে সেই ধোঁয়া বের করার কাজ চালিয়ে যান। যাতে নির্বিঘ্নে অস্ত্রোপচার শেষ করতে পারেন চিকিৎসকরা। ভয় ছিল একটাই— ১০০ বছরের পুরনো এই হাসপাতালের ছাদ অগ্নিকাণ্ডের মার সহ্য করতে পারবে কি না? যদিও শেষপর্যন্ত তেমন কোনও অঘটন ঘটেনি। অপারেশন সফলভাবেই সম্পন্ন হয়। ওই রোগীকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে হাঁফ ছাড়েন চিকিৎসক দল।