পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সিদের বাড়ি ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসের ওয়ালসলে। বাগানে মাটি খুঁড়ে কীট-পতঙ্গ, ইটের টুকরো খুঁজে পেয়ে খুশি হতো শিশুমন। সিদের কথায়, মাটি খুঁড়তে খুঁড়তেই পাথরের মতো জিনিসটি খুঁজে পাই। দেখতে কতকটা শিংয়ের মতো। আবার দাঁত বা নখের অংশ বলেও মনে হতে পারে। তবে, আসলে এটি প্রবাল। এটিকে হর্ন কোরাল বলে। জিনিসটি আসলে কী, তা জানার পর রীতিমতো উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ি।
সিদের বাবা বিশ সিং বলেন, মাটি থেকে এমন অদ্ভুত আকারের জিনিসটি পেয়ে আমরা অবাক হয়ে যাই। সিদ একটি হর্ন কোরাল খুঁজে পেয়েছে। তার আশপাশে ছড়িয়ে ছিল আরও ছোট ছোট কিছু টুকরো। পরের দিন আমরা ফের মাটি খুঁড়তে শুরু করি। এবার জমাট বাঁধা বালির ব্লক পাই। তার মধ্যে ছোট ছোট শামুক ও ঝিনক ছিল। এগুলিকে ক্রিনয়েড বলে। অনেকটা স্কুইডের শুঁড়ের মতো দেখতে। প্রাগৈতিহাসিক ব্যাপার।
সিদের বাবা ফেসবুকের একটি ফসিল গ্রুপের সদস্য। সেই গ্রুপটির সৌজন্যেই তিনি জানতে পারেন, বাগান থেকে পাওয়া এইসব জিনিস আসলে কী। গ্রুপটির দাবি, এটি সম্ভবত রুগোসা কোরাল। ২৫ কোটি ১০ লক্ষ থেকে ৪৮ কোটি ৮০ লক্ষ বছরের পুরনো। সিদের বাবা বলেন, ওই সময়টাকে প্যালিওজোইক যুগ বলে। সেই সময় ইংল্যান্ড প্যাংগিয়া মহাদেশ সমষ্টির অংশ ছিল। জলের তলায় ছিল ইংল্যান্ড।
সিদের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়াম অব জিওলজিকে এই আবিষ্কারের কথা জানানো হবে। সিদের বাবার কথায়, বাগান থেকে পাওয়া এমন অসাধারণ বস্তুটি দেখে বহু মানুষ প্রশংসা করছেন। তাঁরা বলছেন, ভালো করে খেয়াল করলে অনেক জায়গা থেকেই জীবাশ্ম মিলতে পারে। কিন্তু এতটা বড় জীবাশ্মের টুকরো সাধারণভাবে পাওয়া যায় না।