ঢাকা: মোদি বিরোধী বিক্ষোভে একদিন আগেই উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশ। হিংসার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন। শনিবারও রাজধানী ঢাকায় বায়তুল মুকাররম মসজিদের বাইরে বিক্ষোভ হল। সকালের দিকে তেমন বড় কোনও ঘটনা না ঘটলেও বিকেলের পুলিস-বিজিবির সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে ব্রাহ্মণবেড়িয়াতে চারজনের মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, কুমিল্লা-সিলেট জাতীয় সড়কের নন্দনপুর এলাকায় হেফাজত-ই-ইসলামমের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বাহিনীর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালায় বিজিবি। মৃত্যু হয় চারজনের। শুক্রবারের হিংসার জেরে ইতিমধ্যেই ফেসবুক ব্যবহারে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। পাশাপাশি, শুক্রবার রাত থেকেই বিশাল বাহিনী মোতায়েন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মোতায়েন হয়েছে বাহিনী।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান শনিবার বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে ও স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় দেশের বিভিন্ন জেলায় পর্যাপ্ত বাহিনী মোতায়েন করেছে বিজিবি। বাহিনী মোতায়েনের পর পরিস্থিতি মোটের উপর স্বাভাবিক। সব মিলিয়ে মোট কত বাহিনী নামানো হয়েছে, তা তিনি স্পষ্ট করেননি। চট্টগ্রাম পুলিসের এক প্রবীণ অফিসার মহম্মদ জাহাঙ্গির বলেন, অযাচিত ঘটনা এড়াতে শহরে মোতায়েন রয়েছে বিজিবি, পুলিস ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান।’ মোদি বিরোধী এই বিক্ষোভের নেপথ্যে রয়েছেন মূলত হেফাজত-ই-ইসলাম সংগঠনের সদস্যরা। শনিবার হিংসার তেমন কোনও ঘটনা না ঘটলেও হেফাজতের এক মুখপাত্র জানান, এদিনও দেশজুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের ডাক দেওয়া হয়েছে। পুলিসি পদক্ষেপের প্রতিবাদে রবিবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে হেফাজত।