পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দুই দেশের মৈত্রীর পঞ্চাশতম বর্ষ। সেই উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নতুন পথ চলার ঘোষণা করলেন মোদি। আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে ভূয়সী প্রশংসা করলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর। বললেন, ‘ইন্দিরা গান্ধীর উদ্যোগ ও প্রয়াসে বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণ হয়েছিল। আর সেই ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এখন উভয় দেশের।’ বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মোদির এই সফর সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক, কূটনৈতিক এবং ভূ-রাজনৈতিকভাবে প্রবল তাৎপর্যপূর্ণ। তার ইঙ্গিত মিলেছে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি সংগ্রহ পরিদর্শন করার পর জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে মোদির হাই ভোল্টেজ ভাষণে। বাংলাদেশের মন জয়ে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের বিখ্যাত বক্তৃতার অংশবিশেষ বারংবার উল্লেখ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। কারণ মোদি জানেন, কোন বক্তৃতা আজও বাংলাদেশের হৃদয়কে সবথেকে বেশি আন্দোলিত করে। তাই তিনি যখন বাংলায় বলেছেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেস কোর্স ময়দানে শেখ মুজিবের সেই অবিস্মরণীয় বাক্য, ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’, তখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উদ্বেলিত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পুনরুক্তি করেছেন, ‘বাংলাকে আর দাবায়ে রাখা যাবে না’! তবে সবথেকে চমকপ্রদ তথ্য মোদি দিয়েছেন নিজের সম্পর্কে। তিনি বলেছেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে তিনিও সত্যাগ্রহ করেছিলেন এবং গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
আজ, শনিবার সফরের দ্বিতীয় দিন মোদি নির্ধারিত রেখেছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু ধর্মবলাম্বী এবং দুই বাংলায় ছড়িয়ে থাকা মতুয়াদের জন্য। আজ প্রথমে মোদি যাবেন সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালীবাড়িতে। বাংলাদেশের হিন্দুদের ধর্মপালনে মাঝেমধ্যেই উগ্র মৌলবাদীরা বাধা দেয়। কালীবাড়িতে পুজো দিয়ে মোদি বস্তুত বাংলাদেশের হিন্দুদের অভয়বার্তা দিতে চাইছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে মতুয়াদের শ্রীধাম ঠাকুরবাড়ি যাত্রা অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের ভোটপর্বে মতুয়া মন জয়ের জন্য। মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা গুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মস্থান এবং মতুয়াদের পবিত্র ভূমি ওড়াকান্দির মন্দিরে প্রধানমন্ত্রী পুজো দেবেন। তাঁর এই মন্দির দর্শন যে ভোটের বাংলায় বিজেপির প্রচারের হাতিয়ার হতে চলেছে, তা নিশ্চিত।
আজ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী স্তরের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক সম্প্রতি তিক্ত। এই অবস্থায় বাংলাদেশকে পাশে রাখতে মরিয়া ভারত। মৈত্রীর এই পথে অবশ্য দু’টি বিতর্ক বিদ্যমান। তিস্তা চুক্তি এবং সিএএ-এনআরসি। আজ বৈঠকে এই দুই ইস্যু কি উত্থাপিত হবে?