বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মঙ্গলে সফল অবতরণ নিয়ে নাসার কলাকুশলীদের বৃহস্পতিবার শুভেচ্ছা জানান বাইডেন। কথা বলেন স্বাতীর সঙ্গে। তখনই তিনি প্রেসিডেন্টকে স্টার ট্রেকের প্রসঙ্গ বলেন। পারসিভিয়ারেন্সের অবতরণের সময় নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কিন্তু সেই সব পরিস্থিতিকেই কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হন স্বাতী। আশঙ্কা ছিল, যানটি মঙ্গলের খাঁড়াই পাহাড়ে ধাক্কা খেতে পারে বা উঁচু খাঁজে আটকে যেতে পারে। সবথেকে বেশি চিন্তার ছিল মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে ঢোকার পর সাত মিনিটের আতঙ্ক। পারসিভিয়ারেন্সকে অক্ষত রাখতে সেই সব প্রতিকূল পরিস্থিতিকেই সামাল দেন স্বাতী। এব্যাপারে তিনি বাইডেনকে বলেন, ‘অবতরণের দিন কয়েক আগে থেকেই খুব নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম। সফল হতে পারব কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম।’ তবে সফল অবতরণের পর স্বাতীই জেপিএলে খবর দেন ‘ল্যান্ডেড সেফলি।’ যে কণ্ঠস্বর তখন জেপিএলে ভেসে এসেছিল তা ছিল স্বাতীরই।
১৯৮৬ সালে বেঙ্গালুরুতে এই বিজ্ঞানীর জন্ম। তবে তার বছর খানেকের মধ্যেই মা-বাবার সঙ্গে তিনি আমেরিকায় চলে আসেন। পড়াশোনা, বেড়ে ওঠা ভার্জিনিয়া এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে। এরোনটিক্স এবং অ্যাস্ট্রোনটিক্সে মাস্টার্স করেন। যোগ দেন নাসায়। বাইডেনকে স্বাতী এও জানান, ভারতের সঙ্গে এখনও তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। তিন-চার বছর অন্তর তিনি ভারতে যান। থাকেন বেশ কয়েক মাস। একবছর মতো বয়সে আমেরিকায় চলে এলেও বিয়ে করেছেন ভারতীয়কেই। তাঁর শ্বশুরবাড়ি বেঙ্গালুরুতেই। পারসিভিয়ারেন্সের সাফল্যে তাই নাসার পাশাপাশি গোটা ভারতও এখন স্বাতীর সাফল্যে মজে।