গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জাপানের স্বনামধন্য ফ্যাশন ব্যবসায়ী (অনলাইনে পোশাক বিক্রি করেন) ইউসাকু ২০১৮ সালে এই অভিযানের জন্য সিট বুক করেছিলেন। তবে সেজন্য কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে, তা আপাতত প্রকাশ করা হচ্ছে না। চাঁদে যাওয়ার জন্য রকেটটি বানাচ্ছে স্পেস এক্স সংস্থা। মহাকাশযানের সব সিটই তিনি বুক করে নিয়েছেন। কোন আটজন তাঁর সফরসঙ্গী হবেন, তা স্থির করবেন খোদ ইউসাকুই। বুধবার ট্যুইটারে তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে আবেদনের বিস্তারিত প্রক্রিয়া জানিয়েছেন। ৪৫ বছরের ইউসাকু বলেছেন, ‘এই ব্যক্তিগত সফরে গোটা বিশ্ব থেকে আটজনকে সফরসঙ্গী হওয়ার জন্য আমি আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’ মূলত শিল্পীদেরই সফরসঙ্গী করতে চান ইউসাকু। তাঁর মতে, যাঁদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা রয়েছে, তাঁরাই শিল্পী। তাঁর সফরসঙ্গী হওয়ার দু’টি শর্ত। প্রথমত, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উদ্ভাবনী ক্ষমতা থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, সফরের বাকি সদস্যদের সাহায্য করার মানসিকতা থাকতে হবে। জানা গিয়েছে, এই মহাকাশযানে ১০ থেকে ১২ জন সফর করার ব্যবস্থা থাকছে। মহাকাশযানটি চাঁদের চারপাশ প্রদক্ষিণ করে পৃথিবীতে ফিরে আসবে। ইচ্ছুক ব্যক্তিদের ১৪ মার্চের মধ্যে আবেদন করতে হবে। ২১ মার্চের মধ্যে প্রাথমিক স্ক্রিনিংয়ের প্রক্রিয়া শেষ হবে। পরবর্তী পর্যায়ের জন্য কোনও চূড়ান্ত সময়সীমা এখনও দেওয়া হয়নি। তবে, চূড়ান্ত ইন্টারভিউ এবং মেডিক্যাল চেকআপের বিষয়টি করা হবে মে মাসের শেষ দিকে।
এদিকে, ডিসেম্বরের পর গত মাসেও টেস্ট ফ্লাইটের প্রক্রিয়া সফল হয়নি। সেটি ভেঙে পড়ে। কিন্তু স্পেস এক্স সংস্থার আশা, আগামীদিনে ৩৯৪ ফুট (১২০ মিটার) লম্বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য এই রকেটে করে চাঁদ, মঙ্গল এবং অন্যান্য গ্রহে মানুষ ও মালপত্র পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। স্পেস এক্সের প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্ক জানিয়েছেন, ‘আমার দৃঢ়বিশ্বাস, ২০২৩ সালের আগে একাধিকবার মহাকাশে রকেট পাঠিয়ে তা নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে পারব। ওই বছরই প্রথম ব্যক্তিগত সফর মহাকাশ অভিযানের ইতিহাসে নাম তুলবে। ২০২৪ সালে চাঁদে মহিলা সহ একাধিক মহাকাশচারীকে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে নাসা। তার আগে ইউসাকুর এই সফর নজির গড়বে বলেই আশা স্পেস এক্সের।